ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বদলে ফেলুন দৃষ্টিভঙ্গি

সমাজ ভাবনা -বিষয় ॥ চলন্ত বাসে নারীর নিরাপত্তা

প্রকাশিত: ০৮:৫৭, ২৩ মে ২০১৯

সমাজ ভাবনা -বিষয় ॥ চলন্ত বাসে নারীর নিরাপত্তা

শারমিলা রাফা ॥ কদিন আগে পত্রিকায় দেখলাম নার্স শাহিনুর হত্যার বিচার চাইতে দাঁড়ানো তার সহকর্মীদের দিকে চেয়ে ব্যঙ্গ করে হাসছে চলন্ত বাসের চালক, হেলপার এবং যাত্রী। সম্প্রতি এসব আমাদের দেশে সাধারণ ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আসলে কী ভয়ংকর! আমরা দেখছি ফেনীর নুসরাত হত্যার বিচারে প্রধানমন্ত্রী কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। সঠিক বিচারের আশা আমরা করছি। তাই আমরা চাই, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সংসদে একটি বিশেষ ব্যবস্থা থাকুক। যারা নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে সংসদে প্রতিবাদ করবে, বারবার আলোচনা করবে এবং বিচার বিভাগের নজরে নিয়ে যাবে। কঠোর আইন কিছু করতে পারবে না, যদি না আইন প্রয়োগ করা হয়। বরং অপরাধীরা ধরা পড়ার দুদিন পর জেল থেকে বের হয় দ্বিগুণ শক্তিশালী হবে প্রতিশোধের নেশায়। তখন ভুক্তভোগী বা তার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর কেউ থাকবে না। রাস্তায় বের হলেই দেখছি, বাসচালকরা কতটা আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে গাড়ি চালায়, নিজেদের মধ্যে ‘আগে যাওয়ার’ প্রতিযোগিতা কত যাত্রীর জীবনকে নরকতুল্য করে দিচ্ছে। ইদানিং তারা সুযোগ পেলেই সেই অপরাজেয় মনোভাব আর পেশীবহুল হাত নিয়ে নারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। মনুষ্যত্বের সর্বনিম্ন স্তরে নেমে অন্য স্তরগুলোকেও গ্রাস করছে। সমস্যা যত কঠিন হোক, সমাধান থাকেই। রাতারাতি সব সমস্যার সমাধান হবে না। আমাদের মতো দেশে তো নয়ই। কিন্তু মানুষরূপী এসব ‘ভয়ানক বিস্ফোরক’ আটকানো দরকার। তাই তাদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করে দমানো হোক। নারীর প্রতি অন্যায় দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন অর্থাৎ নারীকে প্রতিপক্ষ না ভেবে সহযাত্রী ভাবা এবং সামাজিক সচেতনতা-ই পারে চলন্ত বাসে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
×