ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

টাঙ্গাইলের চলন্তবাসে গণধর্ষণ মামলায় চার আসামির যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ০৪:০১, ২২ মে ২০১৯

টাঙ্গাইলের চলন্তবাসে গণধর্ষণ মামলায় চার আসামির যাবজ্জীবন

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে চলন্তবাসে এক গার্মেন্টেস কর্মীকে গণধর্ষণ মামলায় চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক বেগম খালেদা ইয়াসমিন আজ বুধবার দুপুরে তিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। এই মামলার এক আসামি পলাতক রয়েছে। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- বিনিময় পরিবহনের বাস চালক হাবিবুর রহমান নয়ন (২৮), সুপারভাইজার রেজাউল করিম জুয়েল (৩৮), হেলপার আব্দুল খালেক ভুট্টো (২৩), মোহাম্মদ আশরাফুল (২৬)। এদের মধ্যে সুপারভাইজার রেজাউল করিম জুয়েল পলাতক রয়েছে। টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিশেষ পিপি নাসিমুল আক্তার নাসিম ও মামলার বিবরণে জানা যায়, বিগত ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল কালিয়াকৈরের মৌচাকে কর্মরত এক গার্মেন্টস কর্মী গৃহবধূ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে ভোর পাঁচটার দিকে ‘বিনিময় পরিবহনের’ একটি বাসে কালিকৈরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় বাসে যাত্রী না থাকার সুযোগে বাসটি কিছুদূর যাওয়ার পর বাসের শ্রমিকরা জানালা দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে গাড়ির চালক হাবিবুর রহমান নয়ন তাঁকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে পিঁছনের ছিটে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পালাক্রমে বাসের সুপারভাইজার ও হেলপার ধর্ষণ করে। পরে বাসটি ঢাকা না গিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের একটি ফাঁকা জায়গায় ওই গৃহবধূ গার্মেন্টস কর্মীকে নামিয়ে দিয়ে বাস নিয়ে পালিয়ে যায়। ভিকটিম মধুপুর বাসস্ট্যান্ড এসে তাঁর স্বামীকে জানালে স্বামী তাঁকে কালিয়াকৈর বাসস্ট্যান্ড আসতে বলে। পরে ভিকটিম স্বামীকে বিস্তারিত জানালে তাঁর স্বামী তাঁকে টাঙ্গাইল এনে সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত বাসের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে ওইদিনই গ্রেফতার করে। ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। ধর্ষিতা ওই গৃহবধু আদালতে আরও একজনের নাম উল্লেখ্য করে ২২ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে। পুলিশ তদন্ত শেষে চারজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন এবং ছয়জনকে এ মামলা থেকে অব্যহতি প্রদান করে। গ্রেফতারকৃত তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। মামলার বাদীসহ ৯ জন আদালতে স্বাক্ষী প্রদান করে।
×