ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

জেএসসি পরীক্ষার পড়াশোনা বিষয় ॥ কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা

প্রকাশিত: ১৩:৪২, ২২ মে ২০১৯

জেএসসি পরীক্ষার পড়াশোনা বিষয় ॥ কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা

সুপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল। দ্বিতীয় অধ্যায়- আমদের কাজ ঃ যেগুলো অন্যেরা করে সৃজনশীল প্রশ্ন উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। সাইমুনদের পরিবারে চারজন সদস্য। সাইমুনের বাবা একজন শিক্ষক মা গৃহিণী। তাদের পরিবারে একটি গাভী ও কিছু মুরগিও আছে। সাইমুনের বাবা বিদ্যালয়ে যাওয়ার পূর্বে ও বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরে গাভীটির যতœ করেন। সাইমুনের মা সংসারের কাজের পাশপাশি মুরগিগুলোর যতœ করেন। সাইমুন ও তার বোন পড়ালেখার পাশাপাশি তাদের বাবা মাকে সাহায্য করেন। এতে তাদের পরিবারের কাজের জন্য বাড়তি লোকের প্রয়োজন হয় না। ক. আত্মনির্ভরশীলতা কাকে বলে? খ. কাজের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়ানোর উপায় ব্যাখ্যা কর। গ.একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ পরিবার গঠনে পরিবারের অন্যদের কাজের গুরুত্ত্ব ব্যাখ্যা কর। ঘ. “নিজের কাজ নিজে করি, সুন্দর জীবন গড়ি”- উক্তিটির মূল্যায়ন করো। ক. কোনো কাজ দক্ষতার সাথে সম্পাদন করার জন্য নিজের উপর নির্ভর করাই হচ্ছে আত্মনির্ভরশীলতা। খ. কাজের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়ানোর উপায় হচ্ছে নিজের কাজটি নিজে করা। প্রাত্যহিক জীবনে নিজের নিজে করলে কাজের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও আগ্রহ বেড়ে যাবে। নিজের কাজ নিজে করতে করতে কাজগুলোর প্রতি এক ধরণের ভাললাগা তৈরি হয়। এর মাধ্যমে শুধু নিজের নয়, অন্যের কাজ তথা সব কাজের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়ে। গ. একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ পরিবার গঠনে পরিবারের অন্যদের কাজও সমান গুরুত্ত্বপূর্ণ।নিজের কাজ নিজে করলে পরিবারের সদস্যদের সকলের উপর কাজের চাপ কমে। সেই সাথে পরিবারের জন্য পরিবারের সদস্যরা সকলের সম্পর্কিত কাজগুলো করার সময় পান। এতে স্বয়ংসম্পূর্ণ পরিবার গড়ে ওঠে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা ধরনের কাজ থাকে। এর মধ্যে কিছু কাজ নিজের একান্ত আবার কিছু কাজ পরিবারের অন্যদের সাথে সম্পর্কিত। পরিবারের অন্য সদস্যদের এরকম কাজগুলোও আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে প্রয়োজনীয়। যেমন; পরিবারের কেউ যদি বাজার না করেন আর রান্না না করেন তবে পরিবারের সবাইকে না খেয়ে থাকতে হবে। এভাবে পরিবারের সকলে সমন্বিতভাবে যদি কাজ না করে তবে আমদের পারিবারিক জীবন থমকে যাবে। পরিবারের বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পাদন করার জন্য একজাকে অন্য জনের উপর নির্ভর করতে হয় ও পারস্পরিক সহযোগিতা নিতে হয়। আর তাই স্বয়ংসম্পূর্ণ পরিবার গঠনে পরিবারের অন্যদের কাজের গুরুত্ত্ব অপরিসীম। ঘ. সুন্দর জীবন গড়তে নিজের কাজ নিজে করার কোনো বিকল্প নাই। এক্ষেত্রে নিজের কাজ নিজেকেই করতে হবে।নিজের কাজ নিজে করলে কাজ গুছিয়ে করা যায়, সময় বাঁচে, অর্থের সাশ্রয় হয় ও কাজ সুন্দর হয়। বিখ্যাত ব্যক্তিরা নিজেদের কাজ নিজেরাই করতেন। অন্যেরা করে দিতে চাইলেও তা করতে দিতেন না। নিজের কাজ নিজে করার অনেক সুবিধা রয়েছে। নিজের কাজ নিজে করলে কাজটি নিজের মতো করে গুছিয়ে করা সম্ভব হয়। কারণ একজন তার কাজ কীভাবে এবং কেন করবে তা তার চেয়ে ভালো আর কেউ বুঝবে না। এছাড়া নিজের কাজ নিজে করলে দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং অন্যের উপর নির্ভর করতে হয় না। এতে পরিবারের অন্য সদস্যদের বা আশেপাশের লোকজনের উপর অতিরিক্ত কাজের ভার চেপে বসে না। কাজের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জন্মে এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান বেড়ে যায়। ফলে সঠিক সময়ে কাজ সুসম্পন্ন হয়। জীবন সুন্দর ও সুখময় হয়। নিজের কাজ নিজে করলে নিজের পাশাপাশি পরিবার ও সমাজের প্রতি কর্তব্য ও দায়িত্ত্বশীল ভূমিকা পালন করা যায়। অর্থাৎ সার্বিকভাবে আমাদের জীবন সুন্দর হয়। তাই উক্তিটি যথার্থ, “নিজের কাজ নিজে করি, সুন্দর জীবন গড়ি”।
×