ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিপাকে ওসাকা!

প্রকাশিত: ১৩:০৯, ২২ মে ২০১৯

বিপাকে ওসাকা!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্ব টেনিসের পাদপ্রদীপের আলোয় এখন নাওমি ওসাকা। সেরেনা-শারাপোভারা যখন নিষ্প্রভ ঠিক তখনই টেনিস কোর্টে রাজত্ব করছেন তরুণ প্রতিভাবান এই খেলোয়াড়। গত মৌসুমটা শেষ করেছিলেন ইউএস ওপেনের শিরোপা উঁচিয়ে ধরে। তাও আবার আমেরিকান টেনিসের জীবন্ত কিংবদন্তি সেরেনা উইলিয়ামসকে পরাজিত করে। নতুন মৌসুমের শুরুতেও বাজিমাত করেন তিনি। বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হয়ে। সেই সঙ্গে ব্যাক টু ব্যাক মেজর শিরোপা জয়েরও অবিস্মরণীয় কীর্তি গড়েন নাওমি ওসাকা। এই সময়ে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটাও দখল করে নিয়েছেন তিনি। তরুণ প্রতিভাবান এই খেলোয়াড়ের মা জাপানী, বাবা হাইতির। জাপানে জন্ম হলেও তিন বছর বয়স থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন নাওমি ওসাকা। যে কারণে দুই দেশেরই নাগরিকত্ব রয়েছে দুইবারের গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী এই টেনিস তারকার। গত অক্টোবরে ২১ বছরে পা রেখেছেন নাওমি ওসাকা। অর্থাৎ আগামী অক্টোবরেই ২২ বছরে পা দেবেন বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের এই শীর্ষ তারকা। জাপানের নিয়ম অনুযায়ী ২২ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তাকে যে কোন এক দেশের নাগরিক হিসেবে বেছে নিতে হবে। কেননা জাপানের সরকার দ্বি-নাগরিকত্বের ঘোর বিরোধী। এর ফলে যে কোন এক দেশের নাগরিক হিসেবেই থাকতে হবে নাওমি ওসাকাকে। এমন আইন ওসাকা নিজেও জানেন। কিন্তু তারপরও এর সঠিক সমাধানের পথ খুঁজছেন ইউএস ওপেন ও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের চ্যাম্পিয়ন। গত মাসে ইন্ডিয়ান ওয়েলসে ড্যানিয়েল কোলিন্সের বিপক্ষে জয়ের পর নাগরিকত্বের বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হন নাওমি ওসাকা। তাতে কিছুটা বিরক্তই হয়ে যান তিনি। এ বিষয়ে জাপানী তারকা বলেন, ‘আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না মানুষ কেন এ বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করছে। এই আইনটা খুবই সুস্পষ্ট। আমি নিজেও তা জানি। আমি জাপানের জন্যই খেলছি। এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই এমনকি কাউকে কোন ধরনের অসম্মান করারও ইচ্ছে নেই আমার। কিন্তু এর সমাধান কিভাবে করা উচিত তা বুঝতে পারছি না। আমার জন্য বিষয়টা সত্যিই খুব কঠিন।’ ২০১৩ সালে জাপান টেনিস এ্যাসোসিয়েশনে নিজের নাম রেজিস্ট্রি করেন নাওমি ওসাকা। পেশাদারী টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে তার পথচলা শুরু হয় ২০১৪ সালে ব্যাংক অব দ্য ওয়েস্ট ক্লাসিক টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে। তবে নাওমি ওসাকা প্রথম সবার নজরে আসেন ২০১৬ সালে। ওই বছর ফ্রেঞ্চ ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে উঠেছিলেন তিনি। পরের বছরের উইম্বলডনেও তৃতীয় রাউন্ডে খেলেছিলেন জাপানের এই টেনিস কন্যা। ২০১৮ সালের ইউএস ওপেনের আগে ৫টি গ্র্যান্ডস্লামে অংশ নিয়েছিলেন নাওমি ওসাকা। যেখানে তার সর্বোচ্চ সফলতা ছিল চতুর্থ রাউন্ডে অংশগ্রহণ। যে কারণে গত বছর সেরেনাকে হারিয়ে ইউএস ওপেনে নাওমি ওসাকার শিরোপা জেতাটা ছিল বিস্ময়ের। তবে যোগ্য খেলোয়াড় হিসেবেই যে সেরেনাকে হারিয়ে গত বছর ইউএস ওপেনের শিরোপা জিতেছিলেন সেটা অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমে পাকাপোক্ত করেন নাওমি ওসাকা।
×