ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফেনী নদীতে বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী সেতুর কাজ দ্রুত চলছে

প্রকাশিত: ১২:৩৩, ২২ মে ২০১৯

ফেনী নদীতে বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী সেতুর কাজ দ্রুত চলছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি, ২১ মে ॥ চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার বাগানবাজার ও রামগড় সীমানা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া ফেনী নদীর ওপর ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতুর’ নির্মাণ কাজ দ্রুত চলছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান ১৮ মে এ মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি সেতুর নিরাপত্তার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এ সেতুকে কেন্দ্র করে সরকার ‘রামগড় স্থলবন্দর’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ‘এ মৈত্রী সেতু’ চালু হলে বাংলাদেশ ও ভারত এ দুদেশের মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে এবং উভয় দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। ভারতের সাব্রুম থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, এ মৈত্রী সেতুর দৈর্ঘ্য ৪শ ১২ মিটার, প্রস্থ ১৪ দশমিক ৫ মিটার এবং দুই লেইনযুক্ত। এ সেতুর নির্মাণ খাতে ব্যয় হবে ৮৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। সেতু ও দুপাশের এপ্রোচ সড়ক নির্মাণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভারতের গুজরাটস্থ দিনেশ চন্দ্র আগারওয়াল কোম্পানি। জানা গেছে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে সেতুসহ এপ্রোচ সড়কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হতে পারে। এ মৈত্রী সেতু চালু হলে বাংলাদেশ এনং ভারত বাণিজ্যিক ও বিভিন্ন বিষয়ে লাভবান হবে। এমনকি দুই দেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসাবে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে। তাছাড়া ভারত সমুদ্র পথে বিভিন্ন পণ্য পরিবহনে চট্টগ্রাম বন্দরকে ব্যবহার করতে পারবে। এতে পণ্য পরিবহনে ভারত সুবিধা পেলেও বাংলাদেশ রাজস্ব খাতে লাভবান হবে। অপরদিকে এ মৈত্রী সেতু নির্ভর রামগড় স্থলবন্দর গড়ে উঠলে দক্ষিণ ভারতের ত্রিপুরার সাব্রুম, আসাম, মেজোরাম এবং বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির রামগড়, মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়ি, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, মীরসরাই, সীতাকুন্ডসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।
×