ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিকার চাওয়া যাবে ॥ পরিপত্র জারি

জমি অধিগ্রহণ নিয়ে কোন মামলা করা যাবে না

প্রকাশিত: ১১:২২, ২২ মে ২০১৯

জমি অধিগ্রহণ নিয়ে কোন মামলা করা যাবে না

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন, ২০১৭-এর ৪ ধারার নোটিস জারির পর আর কোন মামলা দায়ের করা যাবে না। তবে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিকার চাওয়া যাবে। এ ছাড়া অধিগ্রহণ সম্পর্কিত ভূমি নিয়ে কোন প্রকার মামলা-মোকদ্দমা দায়ের করা যাবে না, এমন বিধান রেখে এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী স্বাক্ষরিত সোমবারের পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকার সারাদেশে মেগাপ্রকল্পসহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভূমি অধিগ্রহণ একটি অপরিহার্য বিষয়। ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা না গেলে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়, সরকারের উন্নয়ন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয় এবং বহুমুখী জটিলতার সৃষ্টি হয়। লক্ষ্য করা যাচ্ছে, স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন, ২০১৭ অনুযায়ী অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করে আইনের ৪ ধারা নোটিস জারির পর কোন কোন জেলায় অধিগ্রহণ প্রস্তাবাধীন ভূমি নিয়ে আইনের বিধান অনুসারে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিকার না চেয়ে মামলা-মোকদ্দমা দায়ের করা হচ্ছে। এমনকি একই আইনের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ৮ ধারা (পূর্বের স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল অধ্যাদেশ, ১৯৮২-এর ৭ ধারা) নোটিস জারির পর মানুষকে হয়রানির উদ্দেশে মাঠ পর্যায়ে কোন কোন অসাধু চক্রের যোগসাজশে অন্য একজনকে দাঁড় করিয়ে টাইটেল মোকদ্দমা দায়ের করা হচ্ছে। ফলে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্তসহ উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বাংলাদেশের সংবিধানের ৪২(২) অনুচ্ছেদে ক্ষতিপূরণসহ বাধ্যতামূলকভাবে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে আদালতে কোন প্রশ্ন উত্থাপন বা মামলা না করার বিষয়ে বলা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদের (১) দফার অধীন প্রণীত আইনে ক্ষতিপূরণসহ বাধ্যতামূলকভাবে গ্রহণ, রাষ্ট্রায়ত্তকরণ বা দখলের বিধান করা হইবে এবং ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ, কিংবা ক্ষতিপূরণ নির্ণয় বা প্রদানের নীতি ও পদ্ধতি নির্দিষ্ট করা হইবে, তবে অনুরূপ কোন আইনে ক্ষতিপূরণের বিধান অপর্যাপ্ত হইয়াছে বলিয়া সেই আইন সম্পর্কে কোন আদালতে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না। এছাড়া, স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন, ২০১৭-এর ৪৭ ধারায় অধিগ্রহণ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা না করার বিষয়ে বিধিনিষেধ রয়েছে, যা নিম্নরূপ : ‘আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ বা গৃহীত কোন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে, এই আইনের অধীন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ ব্যতীত, অন্য কোন আদালতে কোন প্রকার মামলা দায়ের বা আরজি পেশ করা যাইবে না এবং কোন আদালত উক্তরূপ কোন আদেশ বা ব্যবস্থা সম্পর্কে কোন প্রকার আদেশ বা নিষেধাজ্ঞা জারি করিতে পারিবে না।’ অধিকন্তু স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন, ২০১৭-এর ৩ ধারায় আরও উল্লেখ রয়েছে যে, ‘আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে।’ এমতাবস্থায়, সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা এবং জনভোগান্তি লাঘবের লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন, ২০১৭-এর ৪ ধারা এবং ৮ ধারার (পূর্বের অধ্যাদেশের ৭ ধারা) নোটিস জারির পর আর কোন অভিযোগ গ্রহণের সুযোগ নেই বিধায় আইনের ৪৭ ধারা যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো।
×