ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সৈয়দপুরের লাচ্ছা সেমাইয়ে বাজার গয়লাব

প্রকাশিত: ০৯:৫৭, ২১ মে ২০১৯

 সৈয়দপুরের লাচ্ছা  সেমাইয়ে বাজার  গয়লাব

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ পবিত্র মাহে রমজান ও আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে সৈয়দপুরে লাচ্ছা সেমাই তৈরির ধুম পড়েছে। শহরের অলিগলিতে গড়ে উঠেছে লাচ্ছা সেমাই তৈরির শতাধিক মৌসুমি কারখানা। অভিযোগ উঠেছে এসব কারখানায় একেবারে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্নমানের সব উপকরণ সামগ্রী দিয়ে দেদার তৈরি হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই। অধিক মুনাফার লোভে সেমাই তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে মানবদেহের জন্য মারাত্মক সব ক্ষতিকর উপকরণ। যদিও এরই মধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও রংপুর বিভাগীয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর থেকে ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে কিছু লাচ্ছা কারখানার মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু তারপর থেমে নেই অনুমোদনবিহীন অবৈধভাবে লাচ্ছা সেমাই তৈরি ও বাজারজাতকরণের কাজ। এলাকাবাসী জানায়, আগে কনফেকশনারি ও হোটেল-রেস্তরাঁর মালিকরাই লাচ্ছা সেমাই তৈরি ও বিক্রি করত। কিন্তু ৫/৬ বছর ধরে শহরের কনফেকশনারি ও হোটেল-রেস্তরাঁর মালিকরা ছাড়াও অনেকেই রমজান মাসে এ লাভজনক ব্যবসায় নেমে পড়েন। তারা মূলত মৌসুমি ব্যবসায়ী। আর এসব মৌসুমি ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে অধিক মুনাফা। তারা মানুষের স্বাস্থ্যের দিকটি বিবেচনায় না এনে মুনাফার বিষয়টি মাথায় রেখে অতি নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করছে লাচ্ছা সেমাই তৈরিতে। অভিযোগ মতে সৈয়দপুর শহরে শতাধিক স্থানে লাচ্ছা সেমাই তৈরি কারখানা গড়ে উঠেছে। অথচ এখানে মাত্র ১৩টি লাচ্ছা সেমাই কারখানার বিএসটিআইয়ের অনুমোদন রয়েছে। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা তাদের তৈরি সেমাই ও লাচ্ছা সস্তায় বিক্রি করায় বৈধ ব্যবসায়ীরা পড়েছে বেকায়দায়। শহরের কাজীহাট, পুরাতন বাবুপাড়া, বাঁশবাড়ি, হাতিখানা, নিয়ামতপুর, মুন্সিপাড়া, গোলাহাটসহ শহরের আনাচে-কানাচে মৌসুমি লাচ্ছা সেমাইয়ের কারখানা চালু করা হয়েছে। এসব কারখানা থেকে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন নামে লাচ্ছা বাজারজাত করা হচ্ছে। এসব লাচ্ছা প্রতিদিন রিক্সাভ্যান ও ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সায় শহর এবং গ্রামের হাট-বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। অথচ এসবের বিএসটিআইয়ের কোন অনুমোদন নেই। অধিকাংশ কারখানার পরিবেশ নোংরা, কারিগররাও অপরিচ্ছন্ন। লাচ্ছা সেমাই তৈরিতে দেদার ব্যবহার করা হচ্ছে অনিরাপদ পানি ও ক্ষতিকর নিম্নমানের তেলসহ অন্য সব উপকরণ সামগ্রী। অবৈধভাবে গজানো এসব কারখানার কারণে সমস্যায় পড়েছে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে সেমাই ও লাচ্ছা তৈরির কারখানাগুলো।
×