ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কুমিল্লায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী খুন

প্রকাশিত: ০৯:৫৬, ২১ মে ২০১৯

 কুমিল্লায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী খুন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ২০ মে ॥ কুমিল্লায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী জোস্না বেগম খুন হয়েছে। জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে সোমবার দুপুরে দিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে সৈয়দপুর গ্রামের আবদুল মন্নান (৬০) তার স্ত্রীর জোস্না বেগম (৪৫)কে সোমবার দুপুরের দিকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অস্থায় তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। পরে তার স্বজনরা লাশ বাড়িতে নিয়ে গেলে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ জোস্নার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। নিহত জোস্না ৫ মেয়ে ও ১ ছেলের জননী। চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, এ ঘটনার পর নিহতের স্বামী পালিয়ে গেছে। . টাঙ্গাইলে গৃহবধূ নিজস্ব সংবাদদাতা টাঙ্গাইল থেকে জানান, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে স্বামীর নির্যাতনে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রুমা আক্তার (১৭) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকালে ধনবাড়ী থানা পুলিশ ওই গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়ে স্বামী বেলাল হোসেনকে (২৮) আটক করছে। অভিযোগ উঠেছে, রবিবার দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামী বেলালের শারীরিক নির্যাতনে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুমা আক্তারের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ধনবাড়ী উপজেলার যদুনাথপুর ইউনিয়নের চকভিকি গ্রামে। বেলাল সরিষাবাড়ী উপজেলার মাজালিয়া গ্রামের আব্দুল খালেকের বিদেশ ফেরত ছেলে। নিহত রুমা আক্তার বেলালের দ্বিতীয় স্ত্রী। স্থানীয়রা জানান, বেলাল হোসেন জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার মাজালিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। প্রবাসে থাকা অবস্থায় যদুনাথপুরের চকভিকি গ্রামের আপন চাচাত বোন রোজিনা বেগমকে বিয়ে করে। বিয়ের পর বেলাল বাড়িঘর করে ওই গ্রামের বাসিন্দা হয়ে যান। . গফরগাঁওয়ে আহত প্রবাসীর মৃত্যু নিজস্ব সংবাদদাতা গফরগাঁও, ময়মনসিংহ থেকে জানান, গফরগাঁওয়ে পাকাটি গ্রামের পাকাটি বাজারে আলাল উদ্দিন নামে এক প্রবাসী যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের হিরু মেম্বারের বিরুদ্ধে। ১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে রবিবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পুলিশ সোমবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্কের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। জানা যায়, গত ৫ মে সন্ধ্যায় ৬টার দিকে পাকাটি গ্রামের আলাল উদ্দিন (৩৮) পাকাটি বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসা ছিল। কোন রকম কথা বার্তা না বলে হঠাৎ করেই দোকানে প্রবেশ করে বারবাইরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান হিরু, (উরফে হিরু মেম্বার)। হিরু মেম্বার আলাল উদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকে, তোকে শিকল দিয়ে বেঁধে বাজার ঘুরাব। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হলে হিরু মেম্বারের ছেলেরা ও ছোট ভাই হাসেম বেধরক পেটাতে থাকে আলাল উদ্দিনকে। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারালে আলাল উদ্দিনকে গফরগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। ১৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রবিবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। নিহতের বড় ভাই আব্দুল হামিদ (৫৫) বলেন, হিরু মেম্বার বিনা কারণে, বিনা দোষে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। রবিবার রাতে এ ঘটনার অভিযোগ দিলেও পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। আমরা নির্দোষ ভাই হত্যার বিচার চাই। তিনি আরও বলেন, এর আগেও হিরু মেম্বার আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদা চাইত। . যশোরে শ্রমিক স্টাফ রিপোর্টার যশোর অফিস থেকে জানান, দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে শহিদুল ইসলাম শহিদ (৩৩) নামে এক জুটমিল শ্রমিক নিহত হয়েছেন। নিহত শহিদ মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর গ্রামের লোকমান হোসেন কাজীর ছেলে এবং যশোরের বিরামপুর এলাকার আফনান জুটমিলের শ্রমিক। সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার বাহাদুরপুর জেস গার্ডেন এলাকায় আফনান জুটমিলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় মেহেদী হাসান টফি নামে একজনকে আটক করেছে। আটক টফি উপশহর বিরামপুর এলাকার আসলাম হোসেনের ছেলে। নিহত শহিদের সহকর্মী শাহীন জানিয়েছেন, শহিদ সোমবার দুপুরে আফনান জুটমিলে ডিউটি শেষ করে বের হন। গেট থেকে একশ’ গজ দূরে টিটুর চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছানো মাত্র আনসার আলী ওরফে আমছার আলী, হাবু ওরফে আবু, জিয়ারুল এবং মেহেদী হাসান টফি তার পথরোধ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমছারের কোমরে থাকা চাকু বের করে শহিদের সারা গায়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এরই মধ্যে শহিদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আটক মেহেদী হাসান টফি জানিয়েছেন, তার মামা আমছার আলীর স্ত্রী জুলেখার সঙ্গে শহিদের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে গত শুক্রবারে স্থানীয়ভাবে সালিশ মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ওই সালিশে কোন সুষ্ঠু সমাধান না হওয়ায় আমছার আলী শহিদকে খুন করার পরিকল্পনা করে। এদিন দুপুর আড়াইটার দিকে আমছার আলী, মেহেদী, জিয়ারুল ও আবু ওরফে হাবুকে কথা আছে বলে মিলগেট থেকে ডেকে নেয়। টিটুর দোকানের সামনে পৌঁছানো মাত্র আমছারের কোমরে থাকা চাকু দিয়ে শহিদকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে। . গাজীপুরে গৃহবধূ স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুর থেকে জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কুনিয়া এলাকায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে কাকলি আক্তার (২৪) নামে এক গার্মেন্টসকর্মী গৃহবধূ খুন হয়েছে। সোমবার সকাল ৯ টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার ও ঘাতক স্বামী ওমর ফারুককে আটক করেছে। নিহত কাকলি আক্তর ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার পলাশীহাটা জগৎগঞ্জ গ্রামের ওমর ফারুকের স্ত্রী। তারা গাজীপুর সিটির কুনিয়া এলাকার আব্দুস সোবহান সরকারের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। গাজীপুর পুলিশ জানান, ৭/৮ বছর আগে ওমর ফারুক ও কাকলির বিয়ে হয়। পোশাক কারখানায় চাকরিসূত্রে তারা গাজীপুরের কুনিয়া এলাকায় বসবাস করতেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে সোমবার সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সকাল ৬টার দিকে ওমর ফারুক ছোরা দিয়ে তার স্ত্রী কাকলির পেটে আঘাত করে । কাকলির চিৎকারে আশপাশের ভাড়াটিয়ারা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বোর্ডবাজারের তায়রুন্নেছা মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও পরে সেখান থেকে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিলে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। . সাভারে গৃহবধূ সংবাদদাতা সাভার থেকে জানান, সাভারে পরিত্যক্ত কুয়ার ভেতর থেকে আশা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সাভার সদর ইউনিয়নের উত্তর কলমা এলাকার নিজ বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত কুয়ার ভেতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে সাভার ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিস জানায়, সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে ওই গৃহবধূ নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। পরে পরিবারের সদস্যরা অনেক স্থানে তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বিকেলে বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত কুয়ার মধ্যে তার লাশ দেখতে পেয়ে সাভার ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ওই পরিত্যক্ত কুয়ার ভেতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। এদিকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের বিষয়টি সাভার মডেল থানা পুলিশকে জানিয়েই স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল ম-লসহ স্থানীয়রা তার লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেছে।
×