ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কলসিন্দুর স্কুল সরকারীকরণে আনন্দের বন্যা

প্রকাশিত: ০৯:৫৩, ২১ মে ২০১৯

 কলসিন্দুর স্কুল সরকারীকরণে আনন্দের  বন্যা

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ ফুটবল কন্যাদের স্মৃতিবিজড়িত ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর স্কুল এ্যান্ড কলেজ সরকারীকরণের খবরে এলাকাজুড়ে আনন্দের বন্যা চলছে। গত ২০১৮ সালের শেষদিকে অনুর্ধ ১৫ দলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্কুলটি সরকারী করণে ফুটবল কন্যারা দাবি জানিয়েছিল। বাংলাদেশের গর্ব ফুটবল কন্যাদের দাবি মেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্কুলটি সরকারী করে দিয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণায়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। নারী ফুটবল দলের ম্যানেজার এবং কলসিন্দুর উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল এ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক মালা রানী সরকার জানান, মন্ত্রণালয় থেকে রবিবার এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পেয়েছেন। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব লুৎতফুন্নাহার প্রজ্ঞাপনে গত ১৬ মে স্বাক্ষর করেন। অনগ্রসর ও প্রত্যন্ত এলাকার এই স্কুলটি সরকারী করণের ফলে এলাকায় শিক্ষার মান উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিগত ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত স্কুলটিতে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হচ্ছে। স্কুলটিতে ১২০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। ১৯৯৫ সালে স্কুলটিতে কলেজ শাখা চালু করা হয়েছে। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রতন মিয়া প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী আনন্দে আত্মহারা। স্কুলেরদাতা সদস্য আব্দুল কাদের নারী ফুটবলাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে বলেন, আমরা আনন্দিত ও গর্বিত। স্কুলের নারী ফুটবলাদের কারণেই আজ এটি সরকারীকরণ হয়েছে। স্কুলের মারিয়া মার্জিয়া, তহুরা সানজিদা, শামসুন্নাহার সিনিয়র, শামসুন্নাহার জুনিয়র, শিউলি, নাজমা, তানিয়া, পুর্ণিমা, সাজেদা ও রোজিনাসহ ১৩ ছাত্রী বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের বয়সভিত্তিক বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলছে। গত ১৪ মে ভোরে স্কুলের শিক্ষকদের কমনরুমে রহস্যজনক আগুনে নারী ফুটবলাদের সনদ, মেডেল ও স্কুলের রেজুলেশন খাতাসহ বেশ কিছু কাগজপত্র ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এই ঘটনার এখনও কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনা তদন্তে মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
×