ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মান্দায় ব্রিজের মুখেই বাঁধ ॥ চার গ্রাম তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা

প্রকাশিত: ০৯:৫১, ২১ মে ২০১৯

  মান্দায় ব্রিজের মুখেই বাঁধ ॥ চার গ্রাম  তলিয়ে  যাওয়ার  শঙ্কা

বিশ্বজিৎ মনি, নওগাঁ ॥ ব্রিজের দুই মুখে পুকুর খনন করে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলন করে উঁচু পাড় নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে ওই ব্রিজের নিচ দিয়ে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে করে ওই এলাকার ৪টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী, হাজার হাজার বিঘা আবাদি জমি ও বসতবাড়ি বর্ষা মৌসুমে তলিয়ে যাবার আশঙ্কা করছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, মান্দা উপজেলার গনেশপুর ইউনিয়নের নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের শাপলা ফিলিং স্টেশনের কাছে গোদনার বিলের ব্রিজের দুই ধারে এমন পুকুর খনন করছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী পরিবার। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী। জানা গেছে, নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের মান্দা উপজেলার শাপলা ফিলিং স্টেশনের দক্ষিণ পার্শ্বে ব্রিজের (গোদনা বিল ব্রিজ) উত্তর ও দক্ষিণ পার্শ্বে উঁচু পাড় নির্মাণ করে পুকুর খনন করছেন মান্দা কামারকুড়ি গ্রামের মোঃ ওবায়দুল বিশ্বাস ও তার পরিবার। এই ব্রিজের নিচ দিয়ে বর্ষা মৌসুমে অথবা বন্যার সময় প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হয়। ব্রিজটির উত্তর দিকের মান্দা উপজেলার উত্তরে পারইল, দোসতিনা, কালিকাপুর ও সূর্য নারায়নপুরসহ ৪টি গ্রামের পানি নিষ্কাশন হয়। ব্রিজের দুই মাথায় পুকুর খনন করতে গিয়ে ওই পুকুরের মাটি উত্তোলন করে উঁচু করে পুকুরের পাড় নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে ওই ব্রিজের দুই মাথায় উঁচু বাঁধের মতো স্থায়ী প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই ব্রিজের নিচ দিয়ে বর্ষা মৌসুমে কোনভাবেই স্বাভাবিক পানি নিষ্কাশন হওয়া সম্ভব নয়। এই স্থায়ী বাঁধের ফলে পানি নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতায় তলিয়ে যাবে উল্লেখিত ওই ৪টি গ্রাম। মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মুশফিকুর রহমান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে ওবায়দুল হক বিশ্বাস ও তার নাতি নোবেল জানান, ওই ব্রিজের দুই ধারেই তাদের পরিবারের খতিয়ানভুক্ত ১.৪০ একর সম্পত্তি আছে। এসিল্যান্ড অফিস থেকে যে অনুমতি দেয়া হয়েছে সেই মোতাবেক কাজ চলছিল। সেখানে ব্রিজের পানি প্রবাহ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সেই ব্যবস্থা রেখেই পুকুর খনন করতে বলা হয়েছে।
×