স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাজারে ধানের দাম কম হওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। দ্রুতই এর সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। মন্ত্রী বলেন, কৃষিকে আধুনিকায়ন, যান্ত্রিকীকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণ করে কৃষির সব সমস্যা দূর করা হবে। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে যা যা উল্লেখ রয়েছে তা সবই বাস্তবায়ন করা হবে।
সোমবার কৃষিমন্ত্রী রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের থ্রিডি অডিটরিয়ামে উপজেলা পর্যায়ে ‘প্রযুক্তি হস্তান্তর’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ প্রকল্পের (তৃতীয় পর্যায়ে) আওতায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের গাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। কৃষকের পাশে সরকার না থাকলে কিভাবে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে- এমন প্রশ্ন ছুড়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষকের পাশে আছে বলেই বিভিন্ন কৃষি উপকরণের দাম কয়েকগুণ কমিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে শিল্পায়নের ফলে কৃষি শ্রমিক দিন দিন কমে যাচ্ছে। এজন্য কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ অপরিহার্য। কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণে সরকার ৫০ থেকে ৭০ ভাগ পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়ে থাকে। কৃষি ও কৃষকের প্রয়োজনে যা যা করা দরকার সব করা হবে। সরকার এ বিষয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে।
মন্ত্রী বলেন, কৃষিতে প্রণোদনা বাবদ ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। বাকি ৩ হাজার কোটি টাকা কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণে ব্যবহৃত হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজ আমরা খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশ। এখন আমরা পুষ্টির দিকে নজর দিয়েছি।
কৃষির উৎপাদনশীলতা নির্ভর করে কৃষি প্রযুক্তির ওপর। কৃষি গবেষণার বিভিন্ন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে থাকেন কৃষি কর্মকর্তারা। এই প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কৃষিমন্ত্রী ৮৮ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেন। পর্যায়ক্রমে সব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের গাড়ি দেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন মন্ত্রী। এসব সরকারী গাড়ি প্রযুক্তি হস্তান্তরের কাজে ব্যবহারের জন্য কৃষি কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান তিনি।
