ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কাঙ্খিত স্বপ্নের বাস্তবায়ন

প্রকাশিত: ০৮:৪৩, ২১ মে ২০১৯

কাঙ্খিত স্বপ্নের বাস্তবায়ন

১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগ থেকে শুরু হওয়া আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক আর সাংস্কৃতিক আন্দোলন বাংলাদেশের সংগ্রামী অভিযাত্রায় এক অভাবনীয় সময়। ২০০ বছরের ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত হওয়ার যে স্বাধীনচেতা মনোবৃত্তিতে দেশটি ভাগ হয়েছিল পরিণতিতে তার সুফলের চাইতে অনেক সঙ্কট একেবারে ভেতর থেকে নাড়া দিতে থাকে। সেই থেকে ’৭১-এর স্বাধীনতা পর্যন্ত বাংলাদেশকে যে দুঃসাহসিক পথ অতিক্রম করতে হয়েছিল তার যথার্থ কর্ণধার ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই ১৯৪৮ সালে জিন্নাহর উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়া থেকে শুরু করে ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ রাতের কালো অধ্যায়ই শুধু নয়, ২৬ মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণা পর্যন্ত বিরামহীন যে মানুষটা সংগ্রামে আন্দোলনে, দুঃসময়ে দেশের হাল ধরেছিলেন তাঁর অপরিশোধ্য ঋণে জাতি আজও সশ্রদ্ধচিত্তে এই মহান বীরকে অভিবাদন জানায়। বিস্ময়কর এবং দুঃখজনক হলেও ইতিহাসের সেই অপ্রতিরোধ্য মহানায়ককে যেভাবে সপরিবারে সহিংস, পাশবিক আক্রমণে খুন করা হয় সেটাও সংগ্রামী ঐতিহ্যের এক বিধ্বংসী মর্মস্পর্শী দুর্ঘটনা। শুধু তাই নয়, এমন জঘন্য হত্যাকা-ের বিচার হতে পারবে না তেমন আইনও সংসদে পাস করাতে খুনীরা বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনি। ’৭৫-এর সেই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ, যা বিশ্ব ইতিহাসের এক জঘন্যতম কলঙ্কিত অধ্যায়, সারাদেশকে আজও এক ভয়াল পরিস্থিতির সামনে দাঁড় করায়। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সে সময় দেশের বাইরে থাকার কারণে সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। হয়তবা বাংলাদেশের ঐতিহ্যিক ইতিহাসকে মূল শেকড় থেকে অবগাহন করে আধুনিকতার জয়যাত্রায় সম্পৃক্ত করার উদ্দেশ্যেই। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নিহত হওয়াই শুধু নয়, বিচারহীনতার অপসংস্কৃতিতে আটকে পড়া আইনী মাধ্যমের চরম জটিলতায় দেশটি মহাদুর্যোগের মধ্যে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হতে থাকে। এরই মধ্যে জিয়াউর রহমানের হত্যা এবং পরাক্রমশালী এরশাদের একনায়কত্বের জালে সারা বাংলা তখন উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার মধ্যে চরম দুঃসময় পার করে যাচ্ছিল। ’৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি কতখানি হয়েছে তার সাক্ষী তৎকালীন ইতিহাস। আর রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন যে মাত্রায় মাথা চাড়া দেয় তার দায়ভাগ এসে বর্তায় পুরো সমাজ কাঠামোর অভ্যন্তরে। স্বাধীনতাবিরোধীদের নতুন উদ্যমে জেগে ওঠা, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা, অকারণে, অপ্রয়োজনে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা হত্যাÑ সব মিলিয়ে এক অরাজক তা-বের বিভীষিকা সারাদেশকে অনিবার্য ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে যেতে থাকে। অন্যদিকে বেঁচে থাকা বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা তখন প্রবাস জীবনে অন্তরীণে কাটান এক দুঃসহ মনোবেদনার কষ্টদায়ক অনুভবে। বাবা-মা-ভাইদের হারিয়ে চরম বিষাদঘন জীবনের গ্লানি পোহাতে হয়েছে তাদের। আর আত্মস্বীকৃত খুনীরা চরম উল্লাসে দেশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নতুবা লোভনীয় পদে অন্য দেশে আস্তানা গাড়ছে। তবে শেখ হাসিনার জীবন চলতে থাকে অন্য রকম এক বাঁকে। বেলজিয়াম থেকে ছিটকে পড়ে জার্মানির উদ্দেশে যাত্রা শুরু। মাঝখানে রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে ভারতে গিয়ে নতুন কষ্টকর জীবন যুদ্ধ শুরু করা- সেও এক অন্য রকম দুঃসহনীয় গল্প। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সহায়তায় জীবন কাটানো বাস্তবিক এক করুণ আখ্যান। ভারতে কয়েক বছরের অবস্থানে প্রতিদিনের যাপিত জীবন যশস্বী পিতার এক অতি সাধারণ কন্যার নিয়মিত সংগ্রামী পথচলা। লড়াকু জীবনের দুর্গম, বিপন্ন পথ পাড়ি দিতে দিতে ১৯৮১ সালের মে মাসে বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন তিনি। অসহায়, রিক্ত, নিঃস্ব অবস্থায় দেশের পবিত্র আঙ্গিনায় সেই যে নিজেকে সংগ্রামী বোধে সমর্পণ করলেন, আজ অবধি সেই লড়াকু পথপরিক্রমাকে নিয়তই অতিক্রম করে যাচ্ছেন। সেইসঙ্গে বিপর্যয়, সঙ্কট, টানাপোড়েনের দুঃসহ অভিযাত্রা সার্বক্ষণিক পাশে থেকেছে। দীর্ঘ প্রবাস জীবনের কষ্টকর মুহূর্তগুলো পেছনে ফেলে যেভাবে বাংলার গণমানুষের কাতারে এসে দাঁড়ালেন পিতার অসমাপ্ত স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে, সেখানে আজও তিনি অপরাজেয় ব্যক্তিত্ব। ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানবন্দরে লাখো মানুষের ভালবাসা আর প্রাণঢালা শুভেচ্ছায় অভিষিক্ত হলেন। অশ্রুসিক্ত নয়নে জনগণের অভিনন্দনের জবাব দিলেন। কাতর কণ্ঠে বলেছিলেন- নেতা হবার কোন আকাক্সক্ষা নিয়ে দেশে আসেননি। বরং সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে চান। একজন সামান্য মেয়ে হিসেবে সংসার ধর্ম পালন করাই এক সময় যার ব্রত ছিল, তাঁকেই নির্ণয় করতে হয়েছে সারাদেশের অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যতের লক্ষ্যমাত্রা। শুধু নিজেকে তৈরি করা নয়, সঙ্গে বিপন্ন দলকে নতুন উদ্যমে পুনর্গঠন করাও। স্বাধীনতা অর্জনের মূল শক্তি আওয়ামী লীগ তখন অসংহত অবস্থায় অনেকটা দিশেহারা। নেতৃত্বশূন্যতাও দলের ওপর ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলবে। বঙ্গবন্ধুর মতো ইতিহাসের মহানায়কের স্থানে অভিষিক্ত হওয়ার মতো যোগ্য নেতৃত্বের অভাব দলকে নানামাত্রিকে ভাবিয়ে তুলছিল। সেই কারণে শেখ হাসিনা দেশে ফেরার আগেই তাঁর অনুপস্থিতিতে সবার সম্মাতিক্রমে তাঁকে আওয়ামী লীগের সভাপতির আসনে অলংকৃত করা হয়। সেভাবে তিনি দলের অন্য সতীর্থদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ়সংকল্পে নতুন যাত্রাপথে এগিয়ে চললেন। সে পথ কখনও সহজ কিংবা স্বাভাবিক হয়নি। কণ্টকাকীর্ণ, দুর্গম পথযাত্রা পার হতে হতে একাধিকবার জীবন সংশয়ের মতো দুর্ঘটনা ঘটতেও সময় লাগেনি। শুধু বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশই নয়, জাতির পিতার নির্মম হত্যাযজ্ঞের বিচার করার আকাক্সক্ষাও ছিল সবচেয়ে বেশি তীব্র। যে বিচার প্রক্রিয়াকে আইনী বেড়াজালে অন্ধকারে আটকে রাখা হয়েছিল। সেখানেও প্রধানমন্ত্রী কোন অনিয়মের আশ্রয় নেননি। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতে তাঁর ঘোরতর আপত্তি ছিল। আইনী প্রক্রিয়া যা কিনা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, সে পর্যন্ত অপেক্ষা করে পুরনো আইন বাতিল এবং নতুনভাবে বিচার শুরু করার সব বৈধ পন্থায় জাতির পিতার নির্মম হত্যাযজ্ঞের বিচার সম্পন্ন করা হয়। ইতোমধ্যে পিতার নিজের হাতে তৈরি করা সংগ্রামী সংগঠন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের আন্তরিক সমন্বয়ে আরও এক দীর্ঘ লড়াই প্রতিদিনের জীবনের এক অবধারিত গতিপ্রবাহ। সেই ১৯৮১ সাল থেকে শুরু করা সংগ্রামী জীবনের কাহিনী শুধু দুঃখ আর কষ্টের বোঝা বয়ে বেড়ানো নয়, কোন এক সময় গৌরব আর সম্মানের শীর্ষস্থানে চলে আসাও বাংলা ও বাঙালীর এক অবিস্মরণীয় অর্জন। কারণ প্রধানমন্ত্রী যা কিছু পেয়েছেন, গৌরবের অংশীদার হয়েছেন সবটাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের এক সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় দীর্ঘ ৩৮ বছর পাড়ি দেয়া সেও যেন এক বিপন্ন পথযাত্রীর কাক্সিক্ষত গন্তব্যে পৌঁছা। ১৯৯০ সালে এরশাদবিরোধী গণআন্দোলনের সামরিক একনায়কতন্ত্রের পতন হলে নিয়মতান্ত্রিক গণতন্ত্রের ধারা সূচিত হয়। সেবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মাত্র নয় বছরে দলকে সেভাবে সুসংহত করা যায়নি। তার ওপর দীর্ঘ ১৫ বছর পর জনগণের সমর্থন পাওয়াও ছিল এক প্রকার অনিশ্চয়তার ঘেরাটোপে। ফলে সরকার গঠনের মতো প্রত্যাশিত আসন না পাওয়ায় বিরোধী দলে নিজের অবস্থানকে শক্ত করতে প্রত্যয়ী হলেন। একটি শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে এমন জায়গায় নিয়ে আসলেন যে, তা ’৯০-এর দশকের ঘটনাপরম্পরায় নজির হিসেবে আজও ভাস্বর হয়ে আছে। দলকে সুসংহত আর সুনির্দিষ্ট আদর্শে চালিত করতে গিয়ে মূল্যবান জীবনটি কখনও সুস্থির আর নির্বিঘ্ন হতে পারেনি। বিরোধী দলের ভূমিকায় নিজেকে শক্ত আর মজবুত করতে গিয়ে প্রতিদিনের যাপিত জীবনের বিপন্নতাও কাটানো যায়নি। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে জয়ী হয়ে যারা ক্ষমতার মসনদে আরোহণ করে তারাও ছিল বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর প্রিয় কন্যার শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। ফলে দীর্ঘ সময়ের মহাসঙ্কট থেকে উজ্জীবনের প্রত্যয় শাণিত হলেও অনেক অনাকাক্সিক্ষত দুর্যোগও বারবার সামলাতে হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী এবং প্রতিপক্ষ অপশক্তি প্রতিনিয়তই চক্রান্তের ব্যুহ বিস্তার করে হয়রানি করতে পিছপা হয়নি। কত অশনি সঙ্কেত, বিপদসঙ্কুল পথ অতিক্রম করতে হয়েছে। ইতিহাসে সে চিত্রও জীবন্ত এবং দৃশ্যমান। সমস্ত প্রতিকূলতাকে পাশ কাটিয়ে ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ একুশ বছর পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনে জনগণের রায়ে অভিষিক্ত হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর শুরু হলো এক নতুন স্বপ্ন আর জগতের দ্বার উন্মোচন। যে জগতকে নিজের আয়ত্তে এনে জনগণের দ্বারে পৌঁছে দিতে সময়ের মিছিলে নিজেকে এক অনমনীয় বোধে গড়ে নিতে হয়। কারণ একুশ বছরের অভিশাপ আর আবর্জনা মুছে ফেলতে আরও কিছু অপেক্ষার পালা তো ছিলই জাতির। পিতার নির্মম হত্যার সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়া শুরু করাও ছিল এক দীর্ঘ আইনী লড়াই। তেমন সঙ্কটও এক সময় কেটে যায়। শুধুই কি পিতার হত্যার বিচার? যেসব স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশের পতাকাবাহী গাড়িতে চড়ার চরম দুঃসাহস দেখায়, তাদেরও বিচারিক প্রক্রিয়ায় হাজির করতে শেখ হাসিনাকে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসতে হয়। ২০০১ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি আবারও সরকার গঠনের সুযোগ পেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি হন। ঘটে যায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মতো আরও এক ভয়ঙ্কর হত্যাযজ্ঞের নীলনক্সা। তারেক জিয়ার উন্মত্ততা, ক্ষমতালিপ্সার ছক করা নিশানায় শেখ হাসিনার জনসভার ওপর ন্যক্কারজনকভাবে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরিকল্পিত ও নারকীয় এই হামলায় প্রধানমন্ত্রী সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও অনেকেই প্রাণ হারান। আইভী রহমানের মতো যোগ্য ও দক্ষ আওয়ামী লীগ নেত্রী অকালে চলে যান আক্রমণে ক্ষতবিক্ষত হয়ে। এভাবে অনেক চড়াই-উতরাইয়ের দুর্গম পথ পার হওয়ার প্রয়োজনীয় সময়গুলো ছিল পালহীন নৌকার বিপন্ন যাত্রীর মতো। মাথার ওপর কোন ছাদ কিংবা অভিভাবকের ছায়া না থাকলেও ভেতরের অন্তর্নিহিত শক্তি, অকৃত্রিম দেশাত্মবোধ, জনগণের প্রতি নিঃশর্ত ভালবাসা সব মিলিয়ে এক অনমনীয় শক্তি প্রধানমন্ত্রীকে সার্বক্ষণিক উৎসাহ আর উদ্দীপনা দিয়ে যায়। সেই একই বোধে আজও নিজেকে প্রতিনিয়ত শাণিত করছেন তিনি। কোন ব্যক্তিগত আকাক্সক্ষা কিংবা প্রত্যাশায় দেশ ও জনগণের পাশে দাঁড়াননি, বরং দেশকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় নিরন্তর এগিয়ে নেয়ার স্বপ্নে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে উজাড় করে দিয়েছেন। এক অসহায় মা-বাবা-ভাই হারানো সাধারণ ঘরণী কি উদ্দীপ্ত মনোবলে জীবনের সমস্ত দুর্গম পথ পাড়ি দিতে গিয়ে যেভাবে নিজেকে সমৃদ্ধ করেছেন, পাশাপাশি দেশকেও নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। আন্তর্জাতিক বিশ্বেও এমন দেশনায়কের নিজের যোগ্যতম জায়গাটি তৈরি করতে বেশি সময় নেননি। মাত্র ১০ বছরে সেই দেশ গড়ার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় নিজের অভাবনীয় নেতৃত্বকে বিশ্বসভায়ও প্রতিষ্ঠিত করেছেন। চারবার প্রধানমন্ত্রীর পদে অভিষিক্ত হওয়া জনগণের নেতাকে সব সময় সতর্ক এবং সাবধানে পথ চলতে হয়েছে শুধু নিজেকে রক্ষার জন্য নয়, তার চেয়েও বেশি দেশ এবং দেশের মানুষকে সুরক্ষা দিতে। তিনি সার্থক এবং পরিপূর্ণ। নিজের সবকিছু উজাড় করে দেয়া এই মানবতার জননী সাধারণ মানুষের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে যেভাবে শাসনক্ষমতা পরিচালনা করছেন, সেখানে একটি আধুনিক বাংলাদেশ উপহার দেয়াই যথার্থ কর্মদ্যোতনা। যে সোনার বাংলা স্বপ্ন ছিল বঙ্গবন্ধুর আজ সেই আকাক্সিক্ষত স্বপ্নের দ্বার উন্মোচন হয়েছে প্রিয় কন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ কর্মপ্রতিভায়, যা পৌঁছে যাচ্ছে শহর থেকে গ্রামে, প্রত্যন্ত অঞ্চলের হতদরিদ্রদের মাঝেও। যাদের জীবনযাত্রার মান এখন বিশ্ব দরবারে বহুল আলোচিত। লেখক : সাংবাদিক
×