ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভাড়াটে নেতার নেতৃত্বে চলছে বিএনপি ॥ তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৩:০৪, ২০ মে ২০১৯

ভাড়াটে নেতার নেতৃত্বে চলছে বিএনপি ॥ তথ্যমন্ত্রী

অনলা্ইন রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নেতৃত্ব খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতে নেই। তাই দীর্ঘদিন ধরে দলটি ভাড়া করা নেতা দিয়ে চলছে। নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণে দলটির এ দৈন্যদশা হয়েছে। সোমবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি ইতোপূর্বেও ধার করা নেতা দিয়ে চলেছে দাবি করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে প্রকৃতপক্ষে বিএনপি জোটের নেতৃত্বে ড. কামাল হোসেন সাহেবদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছিল। সেটি এখনও বহাল আছে। বিএনপি এখন নতুন করে আবার নেতৃত্ব ভাড়া করবে কি-না সেটি বিএনপিকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই সিদ্ধান্ত অন্য কেউ দিতে পারবে না। তিনি বলেন, বিএনপি ইতোপূর্বেও নেতা ভাড়া করেছে। কারণ ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে যে ঐক্যফ্রন্ট সেই ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে বিএনপি আছে। প্রকৃতপক্ষে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতে এখন বিএনপির নেতৃত্ব নেই। তারেক রহমান যাবজ্জীবন শাস্তিপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। দেশের বাইরে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেয়া সহজ নয়। সেই কারণে বিএনপির বহু সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত ছিল না। বিএনপির নানাবিধ ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আজকের এই দৈন্যদশা তাদের ক্রমাগত ভুল সিদ্ধান্তের কারণে। প্রথমত, তারা গত নির্বাচন অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তহীনতায় ছিল। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেও করেনি। নির্বাচনে অংশ নেয়ার পর যেভাবে তৎপর থাকার কথা ছিল, তাদের কোনো প্রার্থীই তেমন তৎপরতা ছিল না। এছাড়া মনোনয়ন বাণিজ্য তো আছেই। তবে মনোনয়ন বাণিজ্য এখানে নয়, লন্ডনে হয়েছে। এখানে যেগুলো হয়েছে সেগুলোও লন্ডন পর্যন্ত গেছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি মন্ত্রী বলেন, রূপপুরের অনিয়মের ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে, তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। খালেদার মুখে ‘ঘা’ হওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির নেতাদের বক্তব্যের বিষয়ে রিজভী বলেন, বিএনপির নেতারা বলছেন- বেগম খালেদা জিয়া হঠাৎ কামড় লেগে জিহ্বায় ঘা হয়ে স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছে না। আমি বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের (বিএসএমএমইউ) সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন- খালেদার জিহ্বায় ঘা হয়েছে। সে কারণে তিনি স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছিলেন না, তবে এখন অনেকটা ভালো হয়ে গেছে। দু-একদিনের মধ্যে তিনি পরিপূর্ণভাবে ভালো হয়ে যাবেন, স্বাভাবিক খাবার গ্রহণ করতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, খালেদার অসতর্কতাবশত জিহ্বায় কামড় লেগেছে, একটা অনেকেরই হয়, জিহ্বায় কামড় লেগে ঘা হয়। কিন্তু এটি এমন কোনো রোগ নয় যে, একেবারে জীবন শঙ্কা, যেভাবে বিএনপি নেতারা বলছেন- কামড় লেগে ঘা হয়েছে, বেঁচে থাকার জন্য ‘ঝাউ’ খাচ্ছে- এভাবে উপস্থাপন করা অপরাজনীতি। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া আদালত কর্তৃক শাস্তিপ্রাপ্ত। বছরের পর বছর ধরে তার আইজীবীরা আদালতকে বার বার তারিখ পরিবর্তন করে হ্যারেস করেছে। মামলার ক্ষেত্রে এত সময় নেয়ার ঘটনা ইতোপূর্বে ঘটেনি। স্বাভাবিক বিচার প্রক্রিয়ায় তার বিচার হয়েছে। বিচারের মাধ্যমে তার শাস্তি হয়েছে। আইনকে প্রভাবিত করার সুযোগ নেই। এগুলো রাজনৈতিক বক্তব্য।
×