ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শেয়ারবাজারে সুবাতাস ॥ সরকারের নানামুখী উদ্যোগ

প্রকাশিত: ১০:১৫, ২০ মে ২০১৯

শেয়ারবাজারে সুবাতাস ॥ সরকারের নানামুখী উদ্যোগ

অপূর্ব কুমার ॥ সরকারের নানামুখী উদ্যোগে পুঁজিবাজারে সুবাতাস বইছে। পুঁজিবাজার স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিনিয়োগসীমার আইন সংশোধন, নতুন টাকা সরবরাহ বাড়াতে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) শক্তিশালী করা, পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের ৮৫৮ কোটি টাকা নতুন করে ছাড় এবং আগামী বাজেটে একগুচ্ছ প্রণোদনার উদ্যোগেই নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটেছে। যার ফলে রবিবার একদিনে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক বেড়েছে ১০৫ পয়েন্ট। সেইসঙ্গে সেখানে লেনদেনও আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। নতুন করে উভয় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিনই বিও হিসাবের সংখ্যা বাড়ছে। জানা গেছে, অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানিসহ বন্ড, ডিবেঞ্চার ও বে-মেয়াদী মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকে বিনিয়োগসীমার গণনার বাইরে রাখায় পুঁজিবাজারে ব্যাংকের আরও অন্তত ৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী পুঁজিবাজারে অ-তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ বাদ দিয়ে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ হিসাবায়ন করা হবে। ফলে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর নতুন করে শেয়ার কেনার ক্ষমতা বাড়বে এবং যেসব ব্যাংকের বিনিয়োগসীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগ রয়েছে তাদের আর শেয়ার বিক্রি করে নতুন করে সমন্বয় করতে হবে না। অন্যদিকে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) পরিচালক ও উদ্যোক্তাদের ন্যূনতম শেয়ার ধারণ নিয়ে কঠোর হতে যাচ্ছে। সেটিও শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এর আগে পুঁজিবাজারে টানা দরপতনের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন অংশীজনের মতামত ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে ছাড় দিয়ে বিনিয়োগসীমা সংক্রান্ত নতুন সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার ব্যাংক কোম্পানি কর্তৃক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালায় পরিবর্তন এনে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও বাজার সংশ্লিষ্টদের এই দাবি নতুন ছিল না, গত কয়েক বছর ধরেই প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা ব্রোকারেজ এ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দাবি জানিয়ে আসছিল। অর্থ মন্ত্রণালয়েরও এতে সায় ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই শর্তে রাজি ছিল না। কিন্তু সর্বশেষ শেয়ারবাজারে টানা দরপতন ও লেনদেন কমে যাওয়ায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকের বিনিয়োগ হিসাবায়নে পরিবর্তন এনে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়ায় ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের পরিবর্তন আনল বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে অতালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার, রূপান্তরযোগ্য নয় এমন কিউমুলেটিভ প্রেফারেন্স শেয়ার, অরূপান্তরযোগ্য বন্ড, ডিবেঞ্চার ও বে-মেয়াদী মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ পুঁজিবাজারে ব্যাংকের মোট বিনিয়োগ (একক ও সমন্বিত) হিসাবায়নে অন্তর্ভুক্ত হবে না। এর আগে ৯ মে বাংলাদেশ ব্যাংকে ত্রিপক্ষীয় এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গবর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম। ওই বৈঠকেই শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরে বিএসইসির পক্ষ থেকে বলা হয়, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানে ব্যাংকের মূলধন বিনিয়োগকে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার লিমিটের বাইরে রাখা হলে তাতে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়বে। তবে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাজার মূল্যের পরিবর্তে ক্রয়মূল্যে হিসাব করতে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের দাবির বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে ব্যাংকের কৌশলগত বিনিয়োগও হিসাবায়নের বাইরে রাখার দাবি ছিল। জানা গেছে, ব্যাংকগুলো বর্তমানে রেগুলেটরি মূলধনের ২৫ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। রেগুলেটরি মূলধনের মধ্যে রয়েছে পরিশোধিত মূলধন, অবণ্টিত মুনাফা, প্রিমিয়াম আয় ও বিধিবদ্ধ সঞ্চিতি। এতদিন ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা নির্ধারণে ব্যাংকের ধারণ করা সব ধরনের শেয়ার, ডিবেঞ্চার, কর্পোরেট বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট ও অন্যান্য পুঁজিবাজার নির্দেশনাপত্রের বাজারমূল্য ধরে মোট বিনিয়োগ হিসাব করা হতো। এছাড়া সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের গ্রাহককে দেয়া মার্জিন ঋণের স্থিতি ও ভবিষ্যত মূলধন প্রবাহ বা শেয়ার ইস্যুর বিপরীতে বিভিন্ন কোম্পানিকে দেয়া ব্রিজ ঋণও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে ব্যাংকের সহযোগী কোম্পানিকে (মার্চেন্ট ব্যাংক/ ব্রোকারেজ হাউস) দেয়া মূলধন এ সীমার বাইরে রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক মোঃ রকিবুর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নতুন সিদ্ধান্ত পুঁজিবাজারে তারল্য সঙ্কট দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, শিল্পায়ন, নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আমাদের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার আরও বাড়ানোর জন্য একটি গতিশীল পুঁজিবাজার খুবই জরুরী। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই ইতিবাচক ভূমিকা শুধু পুঁজিবাজার নয়, দেশের অর্থনীতিকেই আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে। তিনি এই উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, বিএসইসির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ডিএসই ব্রোকার্স এ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোঃ শাকিল রিজভী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্ত খুবই ইতিবাচক। এটি আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি। এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়বে। তারা চাইলে বাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে পারবে। বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পরিচালক ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মোঃ ছায়েদুর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত খুবই তাৎপর্যময়। এই সিদ্ধান্তে এটা স্পষ্ট হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজারের প্রতি আন্তরিক। তাদের এই ইতিবাচক অবস্থান বিনিয়োগকারীসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের আস্থা বাড়াবে। বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) নির্বাহী কমিটির সদস্য ও এএফসি ক্যাপিটালের সিইও মাহবুব হোসেন মজুমদার বলেন, এটি আমাদের অনেক দিনের প্রত্যাশিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই ইতিবাচক ভূমিকা দেশের পুঁজিবাজারের বিকাশে কার্যকরী রাখবে। ন্যূনতম শেয়ার ধারণে কঠোর হচ্ছে কমিশন ॥ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪৭ কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালক সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হয়েছে। যেসব কোম্পানির পরিচালকদের উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ নেই; তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হতে নোটিফিকেশনে সংশোধন আনছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ২ সিসি এবং সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯-এর ক্ষমতা বলে এ সংক্রান্ত নোটিফিকেশন সংশোধন করবে। ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গেছে, উদ্যোক্তা ও পরিচালক সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে সবচেয়ে বেশি ব্যর্থ হয়েছে ফাইন ফুডস লিমিটেড। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ধারণ রয়েছে ১.০৯ শতাংশ। সেখানে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৯৮.৯ শতাংশ। কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারণ রয়েছে দশমিক ০১ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে রয়েছে ইনটেক অনলাইন কোম্পানি। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ধারণ রয়েছে ৩.৯৭ শতাংশ। সেখানে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৮৫.২৮ শতাংশ। কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারণ রয়েছে ১০.৭৫ শতাংশ। আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ফ্যামিলি টেক্স বিডি কোম্পানি। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ধারণ রয়েছে ৪.০২ শতাংশ। সেখানে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৭৭.৫৭ শতাংশ। কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারণ রয়েছে দশমিক ১৮.৪১ শতাংশ। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কোম্পানি। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ধারণ রয়েছে ৪.১৬ শতাংশ। সেখানে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৭০.১৩ শতাংশ। কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারণ রয়েছে দশমিক ১৩.৫৩ শতাংশ। আর বিদেশী বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারণ রয়েছে ১২.১৮ শতাংশ। শেয়ার ধারণে ব্যর্থদের নিয়ে নতুন নোটিফিকেশনে থাকছে যে, স্বতন্ত্র পরিচালক বাদে সব উদ্যোক্তা ও পরিচালকের সম্মিলিতভাবে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ থাকতে হবে। আর যদি কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা সম্মিলিতভাবে এই শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হয়, তবে স্টক এক্সচেঞ্জ ওই কোম্পানিকে একটি আলাদা ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত হবে। আর এই কারণে ওই কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা কোন রকম শেয়ার বিক্রি, স্থানান্তর, হস্তান্তর, কোম্পানি একীভূতকরণ করতে পারবে না। তবে ঋণ খেলাপী ও মৃত্যুজনিত শেয়ার স্থানান্তরের বিষয়টি এর বাইরে থাকবে। এছাড়া ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানি রাইট ওফার, আরপিও, বোনাস শেয়ার, কোম্পানি এ্যামালগামেশনসহ কোন প্রকারে মূলধন উত্তোলন করতে পারবে না। যদি কোন উদ্যোক্তা পরিচালক এককভাবে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হয়, তাহলে তার পরিচালক পদ তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল হবে। তবে কোম্পানি বা ইনস্টিটিউশনের মনোনীত পরিচালকের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ থাকতে হবে। অর্থাৎ তিনজন মনোনীত পরিচালকের জন্য ৬ শতাংশ শেয়ার ধারণ থাকতে হবে। যদি কোন পরিচালক এককভাবে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হয়, তাহলে এই শূন্য পদ পূরণ ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে করতে হবে। এই কাজটি সম্পন্ন করবে ওই কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ বা কোম্পানির বোর্ড। বাজার পরিস্থিতি ॥ বিনিয়োগসীমা সংক্রান্ত আইন সংশোধনের কারণে রবিবার সকাল থেকেই সূচকের উর্ধগতি দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। শেষটাও ছিল সূচকের বড় উত্থান দিয়ে। দিন শেষে ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ১০৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩৩৫ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২১৫ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৪৯ পয়েন্টে। ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪৪৩ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার টাকার। যা গত কার্যদিবস থেকে ১৫৩ কোটি টাকা বেশি। গত কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৯০ কোটি ৬৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। ডিএসইতে ৩৪৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৯ শতাংশ বা ২৭১টির, কমেছে ১৩ শতাংশ বা ৪৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮ শতাংশ বা ২৮টির।
×