ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ওষুধ খাতের ৭৭ ভাগ কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৯:২৯, ২০ মে ২০১৯

 ওষুধ খাতের ৭৭ ভাগ কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ারবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ৭৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই ২০১৮-মার্চ ২০১৯) এই মুনাফা বেড়েছে। জানা গেছে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৩১টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৬টি চলতি অর্থবছরের ৯ মাসের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০টির বা ৭৭ শতাংশের ইপিএস বেড়েছে, ইপিএস কমেছে ৩টির বা ১২ শতাংশের এবং ৩টি বা ১১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে। ইপিএস সর্বোচ্চ বেড়েছে ওয়াটা কেমিক্যালের। কোম্পানিটির ইপিএস ২৬৯ শতাংশ বেড়েছে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০৫ শতাংশ ইপিএস বেড়েছে এ্যাডভেন্ট ফার্মার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ ইপিএস বেড়েছে বিকন ফার্মার। এছাড়া ইপিএস সবচেয়ে কম অর্থাৎ ০.৭৯ শতাংশ বেড়েছে এমবি ফার্মার। ইপিএস আগের বছরের একই সময় থেকে কমেছে ১২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের। ইপিএস সর্বোচ্চ কমেছে ফার কেমিক্যালের। কোম্পানিটির ইপিএস ১০ শতাংশ কমেছে এবং ইপিএস সবচেয়ে কম ৪ শতাংশ কমেছে একমি ল্যাবরেটরিজের। এ সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩টির বা ১১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের। এ সময়ে এসিআই মুনাফা থেকে লোকসানে নেমে গেছে। আগের বছরের একই সময় থেকে চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে কোম্পানিটির লোকসান ১৬৭ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া বেক্সিমকো সিনথেটিক্সের লোকসান ৩ শতাংশ বেড়েছে। তবে ইমাম বাটনের লোকসান আগের বছর থেকে ৬৬ শতাংশ কমেছে। গত নয় মাসের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি মুনাফা হয়েছে ওয়াটা কেমিক্যালের। ৩১ মার্চ ২০১৯ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮.৪৫ টাকা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২.২৯ টাকা। অর্থাৎ এই সময়ে ইপিএস বেড়েছে ২৬৯ শতাংশ। একইভাবে একভেন্ট ফার্মার শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ১০৫ শতাংশ। ৩১ মার্চ পর্যন্ত কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১.৭৮ টাকা। যা আগে ছিল ০.৮৭ টাকা। বিকন ফার্মার ইপিএস দশমিক ৫৬ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে দশমিক ৩৫ টাকা। সেন্ট্রাল ফার্মার ইপিএস যেখানে নয় মাসে ছিল দশমিক ৪৪ টাকা সেখানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দশমিক ২৮ টাকা। একটিভ ফাইনের ইপিএস আগের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেড়েছে। ওরিয়ন ইনফিউশনের ইপিএস আগে ছিল ১.০৩ টাকা তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৪২ টাকা। এএফসি আগ্রোর ইপিএস আগের তুলনায় বেড়েছে ৩১ শতাংশ। সালভো কেমিক্যালের ইপিএস আগের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। জেএমআই সিরিঞ্জের দর বেড়েছে ১৭ শতাংশ। বেক্সিমকো ফার্মার আয় বেড়েছে ১৫ শতাংশ। রেনেটার ইপিএস বেড়েছে ১৬ শতাংশ। কোহিনূর কেমিক্যালের ইপিএস বেড়েছে ১ শতাংশ। ইন্দো-বাংলার ইপিএস বেড়েছে ১১ শতাংশ। এসিআই ফর্মুলেশনের ইপিএস বেড়েছে ১১ শতাংশ। ওরিয়ন ফার্মার ইপিএস বেড়েছে ৯ শতাংশ। ফার্মা এইডের ইপিএস বেড়েছে ৯ শতাংশ। স্কয়ার ফার্মার ইপিএস আগের তুলনায় ৬ শতাংশ বেড়েছে।
×