ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অভিনেত্রী মায়া ঘোষ আর নেই

প্রকাশিত: ০৭:৫৩, ২০ মে ২০১৯

অভিনেত্রী মায়া ঘোষ  আর নেই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মঞ্চ, টিভি নাটক, চলচ্চিত্রের গুণী অভিনেত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা মায়া ঘোষ আর নেই। রবিবার সকাল ৮-৪৫ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। দেশের গুণী এই অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষেরা। শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতি, অভিনয় শিল্পী সংঘ, শিল্প ঐক্যজোটসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করতে করতে অবশেষে হার মানলেন মায়া ঘোষ। এ তথ্য জানিয়েছেন তার পুত্র দীপক ঘোষ। তিনি জানান, যশোর কুইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে পাড়ি জমান মায়া ঘোষ। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন মায়া ঘোষ। তার দুই পুত্র দীপক ঘোষ ও প্রদ্যুত ঘোষ জানান, ২০০০ সালে মায়া ঘোষের শরীরে প্রথম ক্যান্সার ধরা পড়ে। ২০০১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতার সরোজগুপ্ত ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হয়। ধারাবাহিকভাবে চলে চিকিৎসা। ২০০৯ সালের দিকে অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠেন। এরপর তার কিডনি, লিভার ও হাঁটুর সমস্যা দেখা দেয়। তারও চিকিৎসা চলছিল। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে আবারও ক্যান্সার ধরা পড়ে। পুনরায় কলকাতার সরোজগুপ্ত ক্যান্সার হসপিটালে নেয়া হয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে। সেখান থেকে ফিরে পুনরায় মার্চে যাওয়ার কথা বলা হয়। গত ১৩ মার্চ শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপর ২২ মার্চ কলকাতায় নেয়া হয়। শারীরিক অবস্থার খুব বেশি উন্নতি হয়নি। মায়া ঘোষও দেশে ফেরার জন্য ব্যাকুল ছিলেন। একপর্যায়ে গত ১৫ এপ্রিল তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে যশোর কুইন্স হসপিটালে ভর্তি করা হয়। রবিবার সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মায়া ঘোষ। প্রসঙ্গত, ১৯৪৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর যশোরের মনিরামপুর উপজেলার প্রতাপকাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মায়া ঘোষ। তার বাবার নাম শংকর প্রসাদ গাঙ্গুলি। পরবর্তীতে একই উপজেলার মাছনা-খানপুর গ্রামের দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৮৪ সালে তারা ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। এর আগে ১৯৮১ সালে ‘পাতাল বিজয়’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় শুরু করেন মায়া ঘোষ। সর্বশেষ ২০১৬ সালে এটিএন বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ডিবি’তে অভিনয় করেছেন। গতবছরও প্রধানমন্ত্রী তাকে চিকিৎসার জন্য ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র করে দেন। শিল্পী ঐক্যজোট সংগঠনটিও তার পাশে ছিল। কিন্তু কোনভাবে বাঁচানো গেল না মায়া ঘোষকে।
×