ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে ৬২ জন গ্রেফতার

ঈদ সামনে রেখে ওত পেতে আছে অজ্ঞান পার্টি

প্রকাশিত: ০৯:৫৫, ১৯ মে ২০১৯

  ঈদ সামনে রেখে ওত পেতে আছে অজ্ঞান পার্টি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাবধান ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীতে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। ওরা বিভিন্ন শপিংমল, বাসস্ট্যান্ড, সদরঘাট ও রেলস্টেশন এলাকায় ওতপেতে থাকে। সখ্যতা গড়ে চেতনানাশক ট্যাবলেট মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্যে খাইয়ে অচেতন করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়। এরকমই অজ্ঞানপার্টির ৬২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। শনিবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোঃ মাহবুব আলম এসব কথা বলেন। তিনি জানান, শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে ৩৮ জন, গোয়েন্দা পূর্ব বিভাগ পুরানো ঢাকার ওয়ারীর জয়কালী মন্দির এলাকা থেকে ৪ জন, গোয়েন্দা দক্ষিণ বিভাগ গুলিস্তান এলাকা থেকে ৭ জন, গোয়েন্দা উত্তর বিভাগ কুড়িল বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ৮ জন ও গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগ উত্তরা এলাকা থেকে ৫ অজ্ঞান পার্টির সদস্যকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৪৩ পিস নকটি ৫ এমজি, নিটরাজিপাম ৫ এমজি, ১৮ পিস লেক্সোটানিল ত্রিএমজি, ২৮ পিস ইপিত্রা ১০ পিস সেডিল রিভোট্রিল ২ এমজি, পেস-২, ডিজোপেন, ক্লোনাজিপাম ২ এমজি, নিক্স (ঘরী), রাবিং বামের নীল রংয়ের কৌটা, ওষুধ মিশ্রিত জুস, খেজুর, সাতটি চোরাই মোবাইল ফোন ও একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়েছে। যুগ্ম কমিশনার মোঃ মাহবুব আলম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানান, ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে তারা রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমল, বাসস্ট্যান্ড, সদরঘাট, রেলস্টেশন এলাকায় আগত ব্যক্তিদের টার্গেট করে সখ্যতা স্থাপন করেন। এরপর তাদের অপর সদস্যরা ট্যাবলেট মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্য আমন্ত্রণ জানায়। টার্গেট করা ব্যক্তি রাজি হলে, ট্যাবলেট মিশ্রিত সেই খাদ্যদ্রব্য তাকে খাওয়ানো হয়। খাদ্য গ্রহণের পর অচেতন হলে তার মূল্যবান দ্রব্যাদি নিয়ে দ্রুত চলে যান। তিনি জানান, এক্ষেত্রে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা খাদ্যদ্রব্য হিসেবে, চা, কফি, জুস, ডাবের পানি, পান, ক্রিম জাতীয় বিস্কুট, ব্যবহার করে থাকেন। তিনি জানান, অজ্ঞান করার পর সবকিছু কেড়ে নিয়েই এরা ক্ষান্ত থাকেন না। কখনও ভিকটিমের কাছ থেকে কেড়ে নেয়া মোবাইল ফোন থেকে স্বজনদের কাছে ফোন করে মুক্তিপণও দাবি করেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম কমিশনার মোঃ মাহবুব আলম জানান, অজ্ঞানপার্টি সদস্যদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য না থাকায় তারা আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে পুনরায় একই কাজ শুরু করেন। কারণ তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অজ্ঞানপার্টির সদস্যদের গ্রেফতার করলেও পুলিশকে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করতে হয়। সেক্ষেত্রে মামলার ধারাগুলো দুর্বল হয়ে যায়। যদি ভুক্তভোগীদের কেউ বাদী হয়ে মামলা করতেন তবে এটি শক্ত হত।
×