ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রোজার পণ্যের বাজারে তীব্র প্রতিযোগিতা

প্রকাশিত: ০৮:৫৬, ১৯ মে ২০১৯

 রোজার পণ্যের বাজারে তীব্র প্রতিযোগিতা

বাংলাদেশ এবারের রমজান মাস উপলক্ষে ১১২ কোটি মার্কিন ডলারের বিভিন্ন পণ্য আমদানি করেছে, যা সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকার সমান। এসব পণ্য এসেছে বিশ্বের ২৮টি দেশ থেকে। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধের মতো উত্তেজনা না থাকলেও বাংলাদেশের বাজার ধরতে এসব দেশের মধ্যে ছিল তীব্র প্রতিযোগিতা। রোজার পণ্য খালাস শেষ হওয়ার পর দেখা গেছে, বাংলাদেশের বাজারে রফতানির ক্ষেত্রে শীর্ষস্থান দখলে গেছে ব্রাজিলের। দ্বিতীয় ইন্দোনেশিয়া। তালিকায় পরের অবস্থানে রয়েছে আর্জেন্টিনা, ভারত, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো। রোজার প্রধান পণ্য ছোলা, মটর ও মসুর ডাল, সয়াবিন ও পাম তেল, চিনি ও খেজুরের আমদানি তথ্য বিশ্লেষণ করে দেশগুলোর এই অবস্থান পাওয়া গেছে। বছরের প্রথম চার মাসে এই সাতটি পণ্যই মোট ১১২ কোটি ডলার ব্যয়ে আমদানি করা হয়েছে। রোজার পণ্যের মধ্যে অন্যতম ছোলা, যা আসছে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে। বন্দরের হিসাবে, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত যত ছোলা আমদানি হয়েছে, তার ৭২ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ার। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার ১৩ শতাংশ বাজার নিজেদের করে নিয়েছে। কানাডার হিস্যা ৮ শতাংশ। তানজানিয়া ও পাশের দেশ ভারতও সামান্য কিছু ছোলা রফতানি করেছে বাংলাদেশে। একসময় ইথিওপিয়া এই তালিকায় থাকলেও এবার নেই। আলোচ্য সময় ছোলা আমদানি হয়েছে ৯ কোটি ১২ লাখ ডলারের, যা ৭৮০ কোটি টাকার সমান। খেজুরের বাজার ছোট, কিন্তু লড়াইটা বেশি। মোট ১১টি দেশ এবার বাংলাদেশে খেজুর রফতানি করেছে। এই তালিকায় ঘুরেফিরে আছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। তবে সব দেশকে ছাড়িয়ে গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তথ্য বলছে, এ বছর চার মাসে মোট আমদানির ৬২ শতাংশই এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। অবশ্য নানা জটিলতায় আমদানির উৎস হিসেবে ইরানের নাম নেই। তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আরব আমিরাত হয়ে বাংলাদেশে বাজারে ঢুকছে ইরানের খেজুর। বাংলাদেশের খেজুরের বাজারের ২৮ শতাংশ তাদের হাতে। এরপরই আছে আলজেরিয়া। তালিকায় আছে সৌদি আরব, তিউনিসিয়া, মিসর, কাতার, ওমান এসব দেশও। নথিপত্রে এ বছর চার মাসে ১১টি দেশ খেজুরের ব্যবসা করেছে ২ কোটি ডলার বা ১৮৩ কোটি টাকা। বিভিন্ন সূত্র বলছে, বাস্তবে খেজুর আমদানির পরিমাণ ৮ থেকে ১০ কোটি ডলারের (৭০০ থেকে সাড়ে ৮০০ কোটি টাকা) কম হবে না। বাকি টাকা অবৈধ পথে পাঠানো হয়। রোজায় চিনির বাজার বেশ বড়। বড় হলেও লড়াইটা দুই দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। শীর্ষে আছে ব্রাজিল। দেশটির দখলে বাজারের ৬৮ শতাংশ। অন্যদিকে ভারতের দখলে ৩২ শতাংশ। দেশের চিনির বাজার যেমন পাঁচ প্রতিষ্ঠানের হাতে তেমনি বিদেশীদের মধ্যে এই দুই দেশের হাতে। অর্থনীতি ডেস্ক
×