ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অস্ট্রেলিয়া নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন

প্রকাশিত: ০৮:৩৭, ১৯ মে ২০১৯

 অস্ট্রেলিয়া নির্বাচনে ভোটগ্রহণ  সম্পন্ন

অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দেশটির রাজনীতিতে বিরাজমান অস্থিরতার কারণে ২০০৭ সালের পর কোন প্রধানমন্ত্রী মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। শনিবার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে সন্ধ্যায় শেষ হয়। বিবিসি। অস্ট্রেলিয়ার সব প্রদেশ ও অঞ্চলে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। তার পরপরই ভোট ফল আসতে শুরু করে। অস্ট্রেলিয়ায় ভোট দেয়া বাধ্যতামূলক এবং এ বছর রেকর্ড এক কোটি ৭০ লাখ ভোটার ভোট দিচ্ছেন। যেহেতু ভোটদান বাধ্যতামূলক তাই ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের সবাই ভোট দেবে, নতুবা ২০ অস্ট্রেলীয় ডলার জরিমানা গুনতে হবে। অস্ট্রেলিয়ায় প্রতি তিন বছর পরপর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে ২০০৭ সালের পর এখন পর্যন্ত কোন প্রধানমন্ত্রী তার মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পারেননি। ক্ষমতাসীন দল লিবারেল-ন্যাশনাল পার্টি টানা তৃতীয় মেয়াদের জন্য লড়াই করছে। যদিও দলটির মধ্যে চরম অন্তর্দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে। নিজ দলের ভেতরে বিদ্রোহের কারণে মাত্র নয় মাস আগে দলীয় নেতৃত্ব হারান ম্যালকম টার্নবুল, সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীত্ব। গত বছর আগস্টে দলের নেতা নির্বাচনের ভোটাভুটিতে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোগী স্কট মরিসনের কাছে হেরে যান তিনি। ওই হারের পর টার্নবুল পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী হন মরিসন। টার্নবুলের সঙ্গে সব ধরনের তিক্ততা মিটিয়ে ফেলেছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মরিসন বলেন, অল্প সময় হাতে পেলেও তিনি দল অনেকটা গুছিয়ে নিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারে মরিসন অর্থনৈতিক বিষয়গুলোকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রধান বিরোধীদল লেবার পার্টির নেতা বিল শর্টেনও জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। গত ছয় বছর ধরে তিনি লেবার পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি নিজ দলের ঐক্যের ওপর জোর দিয়ে বলেন, তার দল ক্ষমতায় গেলে জলবায়ু পরিবর্তন, জীবনযাপন ব্যয় ও স্বাস্থ্য খাতের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেবেন। উভয় নেতাই শনিবার সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন। অস্ট্রেলিয়ায় সবসময় শনিবার ভোটগ্রহণ করা হয়। এবার দেশজুড়ে প্রায় সাত হাজার ভোট কেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দেবেন বলে জানায় নির্বাচন কমিশন। তবে ভোটাররা চাইলে আগাম ভোটও দিতে পারেন। এবার রেকর্ড প্রায় ৪০ লাখ ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ায় সর্বশেষ নির্বাচনে ৯৫ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছিলেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় যা অনেক বেশি। সর্বশেষ নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র ৫৫ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যে ৬৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। সিডনি মর্নিং হেরাল্ড পত্রিকায় শুক্রবার প্রকাশিত জরিপে ক্ষমতাসীন জোটের চেয়ে লেবার পার্টি ২ শতাংশ ভোট বেশি পাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। যেই জিতুক ভোটের লড়াই যে হাড্ডাহাড্ডি হবে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। সেক্ষেত্রে কোন দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে গ্রিন্স, ওয়ান নেশন ও ইউনাইটেড অস্ট্রেলিয়া পার্টির মতো ছোট দলগুলো এমনকি স্বতন্ত্রভাবে জয়ীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় চলে আসতে পারে। যদি মরিসনের দল হেরে যায় তবে চার বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী পেতে যাচ্ছে।
×