ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্মৃতিভ্রংশও ঠেকানো যায়

ধাঁধা, শব্দজট ও সুডোকু খেললে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে

প্রকাশিত: ০৮:৩৫, ১৯ মে ২০১৯

ধাঁধা, শব্দজট ও সুডোকু খেললে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে

নিয়মিত শব্দজট ও সুডোকু খেললে মস্তিষ্ককে তরতাজা রাখা যায়। ব্রিটেনের প্রখ্যাত এক্সেটর বিশ্ববিদ্যালয় ও কিংস কলেজ লন্ডনের এক যৌথ গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, মধ্য বয়স থেকে কেউ শব্দজট ও সুডোকু খেলা শুরু করলে বৃদ্ধ বয়সে তার মস্তিষ্ক অন্যদের চেয়ে তরতাজা থাকে। অর্থাৎ তিনি তারচেয়ে অন্তত ১০ বছর কম বয়সীদের মতো মনে রাখতে পারবেন। গবেষণায় বলা হয়েছে, নিয়মিত ধাঁধা, শব্দজট ও সুডোকু খেললে মানুষের মস্তিষ্কে নাটকীয় প্রভাব ও পরিবর্তন আসে। পাশাপাশি এই ধরনের খেলা মানুষের স্মৃতিভ্রংশ রোধে সহায়তা করতে পারে। প্রায় ১৯ হাজার লোকের ওপর অনলাইন সার্ভের সাহায্যে গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। গবেষণায় পর্যবেক্ষণ করা হয়, ধাঁধা, শব্দজট ও সুডোকু খেলা মানুষের ওপর ঠিক কি ধরনের প্রভাব ফেলে। গবেষণায় অংশ নেয়াদের গড় বয়স ছিল ৫০ বছর। এত বৃহৎ পরিসরে এই জাতীয় গবেষণা আর হয়নি। গবেষণায় স্পষ্ট হয়েছে যে, যারা নিয়মিত ধাঁধা, শব্দজট ও সুডোকু খেলেছে তাদের মনে রাখার ক্ষমতা তারচেয়ে অন্তত ১০ বছরের কম বয়সীর সমান। আবার যারা নিয়মিত সংখ্যার ধাঁধা খেলেছে তারা তারচেয়ে আট বছর কম বয়সী লোকের চেয়ে ভাল মনে রাখতে পেরেছে। গবেষকরা বলছেন, ধাঁধা, শব্দজট ও সুডোকু জাতীয় খেলা মানুষের মানসিক ব্যাপ্তি বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি বৃদ্ধ বয়সে তাদের স্মৃতিভ্রংশতা রোগ ঠেকাতে এসব খেলা কাজ করে। গবেষণা দলের প্রধান এক্সেটর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডক্টর এ্যানি করবেট বলেন, এই গবেষণায় অংশ নিয়ে যারা ধাঁধা, শব্দজট ও সুডোকু খেলেছে তাদের মস্তিষ্কের অনুশীলন হয়েছে। ফলে তাদের সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা বেড়েছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মানুষের মস্তিষ্কও শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতোই। মস্তিষ্ককে প্রতিনিয়ত অনুশীলনের মধ্যে রাখলে এটির সক্ষমতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তিনি বলেন, মস্তিষ্কে অসংখ্য সংযোগ রয়েছে। তাই আমরা নিয়মিত ধাঁধা, শব্দজট ও সুডোকু খেলার মাধ্যমে এগুলোকে সচল ও কর্মক্ষম রাখতে পারি। তিনি আরও বলেন, গবেষণায় আমরা দেখেছি যেসব লোক নিয়মিত ধাঁধা, শব্দজট ও সুডোকু খেলে তাদের মূল্যায়ন ক্ষমতা, কাজের প্রতি মনোযোগ, বিচার-বুদ্ধি বিশ্লেষণ ক্ষমতা অন্যদের চেয়ে প্রখর। গবেষণাটি সম্প্রতি প্রখ্যাত ‘জেরিয়াট্রিক সাইকিয়াট্রিক সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। -ডেইলি মেইল অবলম্বনে
×