ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পাশে থাকার অঙ্গীকার

প্রকাশিত: ০৮:৩৪, ১৯ মে ২০১৯

  কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পাশে থাকার অঙ্গীকার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বে সবাই একসঙ্গে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান। একইসঙ্গে বিএসইসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আছেন এবং পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার রাজধানীর স্কাই সিটি হোটেলে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এতে বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী, বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী, অধ্যাপক স্বপন কুমার বালা, খন্দকার কামালউজ্জামান, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএএম মাজেদুর রহমান, ডিবিএ’র সভাপতি শাকিল রিজভী, সিএসইর পরিচালক ছায়েদুর রহমান, শেয়ারবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, সিএমজেএফের প্রেসিডেন্ট হাসান ইমাম রুবেলসহ সংগঠনটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। রকিবুর রহমান বলেন, বিএসইসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অনেক সংস্কার হচ্ছে। আমরা সবাই তার নেতৃত্বে একসঙ্গে কাজ করব। তিনি আমাদের সবার সহযোগিতা চেয়েছেন। আমরা সবাই তার সঙ্গে একমত। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিনিয়োগসীমার সমস্যার সমাধান হয়েছে। এছাড়া তিনি শেয়ারবাজারের স্বার্থে আইপিও থেকে শুরু করে প্লেসমেন্ট, উদ্যোক্তা/পরিচালকদের ২ শতাংশ ও ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারন, উদ্যোক্তাদের শেয়ারে লক-ইনসহ প্রত্যেকটি সংস্কার কাজ করে যাচ্ছেন। তাই সবাই তার নেতৃত্বে শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নেয়ার জন্য পাশে আছি এবং থাকব। এছাড়া তিনি শেয়ারবাজারকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে যে কাজ করে যাচ্ছেন, আমরা তার এই কাজের পাশে থাকব। তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে আস্থার ও তারল্যের সঙ্কট রয়েছে। যা খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বে কেটে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আর সামনে একটা সুন্দর শেয়ারবাজার পাব। অনুষ্ঠানে বিএসইসি চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন বলেন, শেয়ারবাজারের সঙ্গে মানি মার্কেট ও অর্থনীতির উন্নয়নের সম্পর্ক সরল রেখার মতো না। এই সম্পর্ক অত্যন্ত জটিল। তাই বলব আপনারা (সাংবাদিকেরা) সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে দেখেন, গত কয়েক মাসের সূচকের পতনে রেগুলেটরের কোন ভূমিকা আছে কিনা। যদি ১১-১২ শতাংশ হারে ডিপোজিট চাওয়া হয়, ৪০ হাজার কোটি টাকার জায়গায় যদি ৬৪ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র চাওয়া হয়, যদি মানি মার্কেটের সঙ্গে সমন্বয়হীনতার অভাব থাকে, তাহলে কমিশনের কি করার থাকে। শেয়ারবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, মিউচুয়াল ফান্ডে পুনর্র্বিনিয়োগের সুযোগের মাধ্যমে এই খাতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হয়েছে। আমি জানি না, কমিশন কিভাবে এটা বিবেচনা করেছিল।
×