ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাস্থ্যসেবা খাতের উন্নয়নে সবার এগিয়ে আসা দরকার

প্রকাশিত: ১৩:১৪, ১৮ মে ২০১৯

 স্বাস্থ্যসেবা খাতের উন্নয়নে সবার এগিয়ে আসা দরকার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বাস্থ্যসেবা খাতে উন্নয়নে শুধু সরকার নয়, সকলের এগিয়ে আসা দরকার। সেবার জন্য সমাজের বিত্তবান ও হৃদয় সম্পদে বিত্তবানরা এগিয়ে আসুন। তবেই দেশের উন্নতি হবে। ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিকের সৎ প্রচেষ্টার অনন্য-অসাধারণ প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষ উপকৃত হচ্ছে। সেজন্য সমাজে যারা বিত্তবান আছেন তারাও এগিয়ে আসুন। আর্থিক সম্পত্তি না থাকলেও যাদের হৃদয়ের সম্পদ অনেক বড় তাদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি। শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিরপুর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস উপলক্ষে হাইপারটেনশন কমিটি অব ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত গণমুখী সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বার্দান জং রানা, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সহসভাপতি বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও আল-হোসাইনী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আওয়াল রিজভী। গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে নাগরিকের মৌলিক অধিকারের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করে থাকেন। এই মৌলিক অধিকারের অন্যতম হলো নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। এটি সংবিধানেও বলা হয়েছে। এটা নিশ্চিত করার জন্য শেখ হাসিনা সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরে প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। তার লক্ষ্য বাংলাদেশের একজন মানুষও যেন স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা খাতে বাংলাদেশের ইতিহাসে যুগান্তকারী ভূমিকা শেখ হাসিনা সরকার রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন, প্রতিটি বিভাগে একটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এছাড়া প্রতিটি জেলায় মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। এর লক্ষ্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে দক্ষ মানুষ তৈরি করা এবং নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। কোন সরকারই এতটা সংবেদনশীলতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতি নজর দেয়নি। অযোগ্য মানুষকে বিশেষায়িত জায়গায় বসোনো যাবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একজন যথাযথ যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ ডাক্তার না হয়ে অযোগ্য মানুষ ডাক্তার হলে যে সর্বনাশ নয়, তা থেকে পেছনে ফিরে আসা যায় না।
×