ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচারের সময় হ্রাস

মমতার পাশে কংগ্রেস, মায়াবতী ও অখিলেশ

প্রকাশিত: ০৮:৪০, ১৮ মে ২০১৯

মমতার পাশে কংগ্রেস, মায়াবতী ও অখিলেশ

লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রচার সীমা কমিয়ে আনার সমালোচনা করেছেন ভারতের কংগ্রেস নেতা রণদীপ, উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী প্রদেশটির অপর নেতা অখিলেশসহ অন্য রাজনীতিকরা। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে প্রচার শেষ করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। এর কঠোর সমালোচনা করে আসছেন প্রদেশটির শাসক দল তৃলমূল। খবর এনডিটিভি অনলাইনের। এদিকে এই সমস্যায় মমতার পাশে দাঁড়ানোয় রাহুল গান্ধী ও মায়াবতীর প্রশংসা করেছেন তৃণমূল প্রধান। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে বলেন, ধন্যবাদ ও মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, কংগ্রেসসহ অন্য নেতাদের বাংলার প্রতি সহমর্মিতা দেখানোর জন্য কৃতজ্ঞ। বিজেপির ইঙ্গিতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্ব গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। এর যোগ্য জবাব দেবে সাধারণ মানুষ। শেষ দফায় ভোটপ্রচারের সময় কমিয়ে দেয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মমতা ব্যানার্জি বিষয়টিকে, ‘অনৈতিক এবং অসাংবিধানিক’ বলে মন্তব্য করেন। মোদির উদ্দেশে মমতা বলেন, আপনি রাজীব গান্ধীকে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা বলেছেন। সনিয়াজীকেও দুর্নীতিগ্রস্ত বলেছেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও বলেছেন। মায়াবতী, এমনকী, আমাকেও বলেছেন। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও বলেছেন। মমতাকে পরিকল্পনা মাফিক আক্রমণ করা হচ্ছে জানিয়ে মায়াবতী বলেন, এটা গণতন্ত্রের কাম্য নয়। নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপকে ‘ক্ষমার অযোগ্য সংবিধান লঙ্ঘন’ বলে মন্তব্য করেছে কংগ্রেস। পাশাপাশি তাদের অভিযোগ, ‘মোদি-অমিত শাহ যুগলের হাতের খেলনায় পরিণত হয়েছে’ নির্বাচন কমিশন। দলের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুর্যওয়ালা বলেন, ‘শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদির সভার জন্য সময় দেয়া হয়েছে।’ একইসঙ্গে মডেল কোড অব কনডাক্টকে ‘মোদি কোড অব কনডাক্ট’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর সভা থেকে সংঘর্ষ বাধে। ওইদিন সন্ধ্যায় বিজেপি অমিত শাহের রোড শো চলাকালীন বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে সংঘর্ষ হয়, ভাঙ্গা হয় বিদ্যাসাগরের মূর্তি। এসব কারণে শেষ দফা ভোটের প্রচারের সময় কমিয়ে আনা হয়।
×