ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

চেইন মাইগ্রেশন পাল্টানোর প্রস্তাব

মেধাভিত্তিক অভিবাসন পরিকল্পনা ট্রাম্পের

প্রকাশিত: ০৮:৩৮, ১৮ মে ২০১৯

মেধাভিত্তিক অভিবাসন পরিকল্পনা ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তরুণ, শিক্ষিত ও ইংরেজীভাষী কর্মীদের সুবিধা দিতে নতুন অভিবাসন পদ্ধতি চালুর পরিকল্পনা তার রয়েছে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে দেয়া বক্তৃতায় তিনি এসব কথা জানান। বিবিসি। ট্রাম্প বর্তমান ‘চেইন মাইগ্রেশন’ পদ্ধতি পাল্টে ফেলারও প্রস্তাব দিয়েছেন। চেইন মাইগ্রেশন প্রক্রিয়ায় নাগরিকত্ব পাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও ধীরে ধীরে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ার সুযোগ পান। ট্রাম্প শুরু থেকেই এই প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে ‘মেধাভিত্তিক অভিবাসন’ চালুর কথা বলে আসছিলেন। রোজ গার্ডেনে দেয়া বক্তৃতায় জানান, নতুন এ পরিকল্পনায় মার্কিন অভিবাসন পদ্ধতি নিয়ে ঈর্ষা করবে আধুনিক বিশ্ব। খোলা দরজা নীতিতে আমরা খুশি, আমাদের দেশকে আমরা এভাবেই সৃষ্টি করতে চেয়েছি। কিন্তু অভিবাসন প্রত্যাশীর বড় অংশেরই আসা উচিত মেধা ও দক্ষতার ভিত্তিতে। যুক্তরাষ্ট্র এখন মোট অভিবাসীর ১২ শতাংশ দক্ষতার ভিত্তিতে নেয়; ট্রাম্প এ সংখ্যাকে প্রাথমিকভাবে ৫৭ শতাংশ করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এর চেয়ে বেশি করা যায় কিনা, তাও দেখা যেতে পারে। আগামী দিনগুলোতে সীমান্তে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে এবং আশ্রয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিরোধী ডেমোক্র্যাট পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতারা ট্রাম্পের নতুন এ অভিবাসন পরিকল্পনাকে অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন। ‘ড্রিমারদের’ নাগরিকত্ব দেয়ার বিষয়ে কিছু না থাকায় নতুন পরিকল্পনাটির কঠোর সমালোচনাও করেছেন তারা। শিশু অবস্থায় বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজনের হাত ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আসা লাখ লাখ বাসিন্দা এখনও দেশটির নাগরিকত্ব পাননি; এদেরকেই ‘ড্রিমার’ নামে ডাকা হয়। ট্রাম্পের নতুন পরিকল্পনাটি পাস হতে হলে তা ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে অনুমোদন লাগবে। প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট স্পীকার ন্যান্সি পেলোসি প্রশ্ন ছুড়েছেন, তারা (রিপাবলিকান) কি বলতে চান- আমাদের দেশে এতদিন ধরে যারা এসেছেন তাদের মেধা নেই, তাদের প্রকৌশল ডিগ্রী নেই বলে? পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের নতুন এই প্রস্তাব প্রতিনিধি পরিষদে মুখ থুবড়ে পড়ার সম্ভাবনাই বেশি। অনেকের ধারণা, এ অভিবাসন পরিকল্পনার সূত্র ধরে ট্রাম্প আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে রিপাবলিকানদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করতে পারেন। অভিবাসন ইস্যুতে রিপাবলিকান এ প্রেসিডেন্টের অবস্থান বরাবরই কঠোর। অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীদের আটকাতে দেয়াল নির্মাণের জন্য চলতি বছরের শুরুর দিকে মেক্সিকো সীমান্তে জরুরী অবস্থাও জারি করেছিলেন তিনি। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ওই সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক শরণার্থী ‘ক্যারাভান’ও আসছে। এদের ঠেকাতে ট্রাম্প সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছেন। প্রয়োজনে সীমান্তটি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ারও হুঁশিয়ারি আছে তার।
×