ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শেখ জামালের ড্র ও সাইফের বড় জয়

প্রকাশিত: ১০:২৬, ১৭ মে ২০১৯

 শেখ জামালের ড্র ও সাইফের বড় জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলের ১৫তম রাউন্ডে বড় জয় পেয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। তবে জিততে পারেনি শেখ জামাল ধানমন্ডি লিমিটেড। বৃহস্পতিবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে জামাল। অন্যদিকে ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভুঁইয়া স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টিম বিজেএমসিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সাইফ স্পোর্টিং। লীগের প্রথম লেগে মুক্তিযোদ্ধার কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল ধানমন্ডির জায়ান্টরা। এ কারণে এটি ছিল শেখ জামালের প্রতিশোধের ম্যাচ। কিন্তু প্রথমে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত লিড ধরে রাখতে না পারায় প্রতিশোধটা নেয়া হয়নি শফিকুল ইসলাম মানিকের শিষ্যদের। হতাশার ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। এর ফলে ১৪ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম অবস্থানেই থাকল শেখ জামাল। সমান ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধার ১৬ পয়েন্ট, তারাও থাকল পূর্বের সপ্তম স্থানেই। আর ২৯ পয়েন্ট হওয়াতে একধাপ এগিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে আসল সাইফ স্পোর্টিং। বিজেএমসি ৪ পয়েন্ট। তারা আছে তলানিতে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা-শেখ জামাল ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দল খেলেছে প্রায় সমানতালেই। সপ্তম মিনিটে বাঁপ্রান্ত থেকে জামালের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড এমিল সাম্বোর শট বক্সে হেড দিয়ে ক্লিয়ার করেন মুক্তির এক ডিফেন্ডার। ১১ মিনিটে বক্সের মধ্যে ডানপ্রান্ত থেকে পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন সাম্বো। কিন্তু এবার ফিস্ট করেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক উমর ফারুক লিংকন। ১৮ মিনিটে ম্যাচে লিড নেয় শেখ জামাল। ডানপ্রান্ত থেকে কিরগিজ ফরোয়ার্ড ডেভিড টিত্তেহের ক্রসে দারুণ হেডে লক্ষ্যভেদ করেন জামাল অধিনায়ক গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সলোমন কিং কানফর্ম (১-০)। ২৯ মিনিটে বল নিয়ে জামালের বক্সে ঢোকার আগের মুহূর্তে মুক্তির আইভরি কোস্টোর ফরোয়ার্ড বাল্লো ফেমোসাকে পোস্ট ছেড়ে এগিয়ে এসে ফেলে দেন জামাল গোলরক্ষক সামিয়ুল ইসলাম মাসুম। রেফারি তাকে হলুদ কার্ড এবং মুক্তিযোদ্ধাকে ফ্রি কিক দেন। কিন্তু এমন সুবর্ণ সুযোগটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় আব্দুল কাইয়ুম সেন্টুর শিষ্যরা। ৩৪ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে ডিফেন্ডার হাবিবুর রহমান নোলকের মাপা থ্রো বক্সে হেড করেন বাল্লো ফেমোসা। সেখান থেকে বল পেয়ে কোনাকুনি শটে জামালের জাল কাঁপান জাপানী মিডফিল্ডার ইউসুকে কাতো (১-১)। প্রথমার্ধ শেষ হয়েছে সমতাতে। দ্বিতীয়ার্ধেও উভয় দল খেলেছে প্রায় সমান তালেই। ৬১ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে ডিফেন্ডার মোহাম্মদ মনীর হোসেনের পাসে বক্সে বল পেয়ে শট নিতে চেষ্টা করেছিলেন এমিল সাম্বো। কিন্তু তার আগেই প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডাররা বল বিপদমুক্ত করেন। ৭৭ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে আলী হোসেনের পাস বক্সে সরিয়ে দেন মুক্তি ডিফেন্ডাররা। এর পরের মিনিটেই বক্সে ঢুকার আগ মুহূর্তে সলোমনের জার্সি টেনে ধরেন মুক্তির একজন ফুটবলার। ফ্রি কিক পায় শেখ জামাল। তবে সুযোগটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন জামাল অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত অমীমাংসিতভাবেই শেষ হয়েছে লড়াইটি। ঢাকার বাইরে ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভুঁইয়া স্টেডিয়ামে সাইফ স্পোর্টিংয়ের মুখোমুখি হয় টিম বিজেএমসি। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে বক্সের প্রায় দশগজ দূরে ফ্রি কিক পায় সাইফ স্পোর্টিং। উজবেক মিডফিল্ডার ওটাবেক জকিরভের দূরপাল্লার স্পট কিক সরাসরি আশ্রয় নেয় বিজেএমসির জালে (১-০)। ৩৪ মিনিটে সাইফের দ্বিতীয় গোলটির পেছনের নায়কও ছিলেন এই ওটাবেক। কর্নার থেকে তার যোগান দেয়া উড়ন্ত বলে বক্সে মাথা ছুঁইয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কলোম্বিয়ান মিডফিল্ডার ডেইনার কর্ডোবা (২-০)। ৮২ মিনিটে নাজির ইসলামের পাসে বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন সাইফের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড আলোসান্দ্রো পাদোভানি সেলিন (৩-০)।
×