ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বয়সভিত্তিক এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ আয়োজনের উদ্যোগ

প্রকাশিত: ১০:২৫, ১৭ মে ২০১৯

  বয়সভিত্তিক এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ আয়োজনের উদ্যোগ

জাহিদুল আলম জয় ॥ সদ্যই বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন একেএম মমিনুল হক সাঈদ। বিজয়ী হওয়ার পরই হকিকে ঢেলে সাজানোর ঘোষণা দিয়েছেন খেলাপাগল এই সংগঠক। এরই অংশ হিসেবে সাঈদ বর্তমানে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে এশিয়ান হকির কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছেন। সেখানে অবস্থানকালে সাঈদ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরবর্তী আসরসহ বয়সভিত্তিক এশিয়া কাপ ও বয়সভিত্তিক বিশ্বকাপ আয়োজনের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। এশিয়ান হকি ফেডারেশন (এএইচএফ)-এর প্রধান নির্বাহী তৈয়ব ইকরামের কাছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন টুর্নামেন্ট আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে এএইচএফ’র প্রধান কার্যালয়ে তৈয়ব ইকরামের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ হকির এই আগ্রহের কথা জানান সাঈদ। এছাড়া নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজনসহ আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন (এফআইএইচ)-এর সহযোগিতায় মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামের একাংশে ইনডোর হকি ট্রেনিং গ্রাউন্ড স্থাপনের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। বিষয়গুলোকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে এশিয়ান হকির সর্বোচ্চ সংস্থা এএইচএফ। শৈশব থেকেই খেলাধুলা, নির্দিষ্ট করে বললে ফুটবলের সঙ্গেই জড়িত আছেন সাঈদ। কখনও ক্লাব পর্যায়ে না খেললেও খেলার মাঠে তার নিয়মিত পদচারণা ছিল স্থানীয় বন্ধু-বান্ধব ও সমবয়সী তরুণদের সঙ্গে। এভাবেই খেলাটির প্রেমে পড়ে যান তিনি। আর এ ভাল লাগা থেকেই হয়ে গেলেন ক্রীড়া সংগঠক। এ ভূমিকায় ইতোমধ্যেই কুড়িয়েছেন সুনাম। এবার বহুল আলোচিত বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের (বাহফে) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন সাঈদ। ঢাকার ধানমন্ডির সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সাঈদ ১১ ভোটের ব্যবধানে হারান সাবেক হকি কিংবদন্তি ও তারকা খেলোয়াড় আব্দুস সাদেককে। ৮৪ কাউন্সিলরের মধ্যে ভোট দেন ৮৪ জনই। তবে একটি ভোট নষ্ট হয়। সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী সাঈদ পান ৪৭ ভোট। দ্বিতীয় হওয়া আবদুস সাদেক পান ৩৬ ভোট। ফলে ১১ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন সাঈদ। ২০০৫ সালের পর ভোটাভুটির মাধ্যমে বাহফে পেয়েছে নতুন সাধারণ সম্পাদক। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কতটা সফল হতে পারবেন সাঈদ? এ প্রসঙ্গে সাঈদ জানান, দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে হকি ফেডারেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। একটি পক্ষ এই হকির খেলাকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কিছু ক্লাবকে শক্তি প্রদর্শন কিছু ব্যক্তিগত লোকদের ব্যক্তি ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে কাউকে সম্পৃক্ততা না করার কারণেই ফেডারেশন ঝিমিয়ে পড়েছিল। মানুষের মনে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সেই আশঙ্কা থেকেই নির্বাচন হবে কিনা তা সঙ্কটে ছিল। যাহোক শেষ পর্যন্ত স্বচ্ছ নির্বাচন হয়েছে। আশাকরি ঝিমিয়ে পড়া সংগঠকরাও নতুন উদ্দীপনা নিয়ে এবার কাজ শুরু করবেন। একটি সংমিশ্রণের কমিটি নির্বাচিত হয়েছে। কমিটির সবার সঙ্গে কথা বলেছেন সাঈদ, আমি চাচার (আবদুস সাদেক) সঙ্গেও কথা বলেছি। আমি বলেছি, প্রয়োজনে আমি এজিএমে আপনাকে প্রধান উপদেষ্টা করে নিয়ে আসব। আপনার অভিজ্ঞতাকে পাশে নিয়ে আমি চলতে চাই। তিনি বলেছেন, তোমার সবসময় পরামর্শ আমি দেব। সাঈদ আরও যোগ করেন, সবাইকে পাশে নিয়ে কাজ করতে চাই। মেধা দিয়েই বাকিরা ওপরের দিকে উঠে আসবে। সবাইকে নিয়েই কমিটি করব। আমি অনেকগুলো ক্লাবের সঙ্গে জড়িত। আমাকে এককভাবে কাউকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করার কোন সুযোগ নেই। এটা আমার একটি সংসার হবে। আমি সবাইকে নিয়েই সেই সংসার পরিচালনা করতে চাই। আমি সবার সাধারণ সম্পাদক হতে চাই। বাংলাদেশের সব হকিপ্রেমীর দায়িত্ব নিয়েছি। সারাদেশে সম্ভাবনার হকিকে পুনর্জাগরণের জন্য কাজ করব।
×