প্রকাশিত জঙ্গী শনাক্তকরণ বিজ্ঞাপনটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ॥ সম্প্রীতি বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশের’ আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, জঙ্গী শনাক্তকরণ বিষয়ে কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় প্রচারিত বিজ্ঞাপনটি নিয়ে যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে তা অনভিপ্রেত ও অনাকাক্সিক্ষত। এর সঙ্গে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশের কোন সম্পর্ক নেই। প্রকাশিত জঙ্গী শনাক্তকরণ বিজ্ঞাপনটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সম্প্রীতি বাংলাদেশ সংগঠনে সাম্প্রদায়িকতার কোন স্থান নেই। তিনি বলেন, সম্প্রীতি বাংলাদেশ সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে অসাম্প্রদায়িক জাতিসত্তার পক্ষে কাজ করে চলেছে। সংবাদ সম্মেলনে পঠিত লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রীতি বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী এবং সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি সামাজিক সংগঠন। সংগঠনের নেতৃত্বে থাকা প্রত্যেকের রয়েছে একটি সমৃদ্ধ আত্মপরিচয়। সম্প্রীতি বাংলাদেশের ছায়াতলে একত্রিত হওয়ার অনেক আগে থেকেই তারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে সমাজের সব শুভকর্মে রেখেছেন জোরালো ভূমিকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সম্প্রীতি বাংলাদেশ সব মহলের সক্রিয় সহযোগিতায় সব ধরনের উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ, ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সব সময় সক্রিয় রয়েছে এবং ভবিষতেও থাকবে। এই সংগঠনের সঙ্গে যারা আছেন তারা সবাই দেশের সকল দুর্যোগ মোকাবেলায় বারবার অকুতোভয় চিত্তে সক্রিয় থেকেছেন। তিনি বলেন, এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা সতেজ ও সক্রিয় থেকে দেশ, সমাজ ও মানুষের ভাল কাজটি করে যাবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সম্প্রীতি বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের পর থেকে এ পর্যন্ত সমাজের মানবিক বিষয়গুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে সুন্দর এক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশে থাকবে আন্তঃধর্ম সুসম্পর্ক। থাকবে না কোন প্রকার বৈষম্য, থাকবে না কোন নিপীড়ন-নির্যাতন। অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ বাংলাদেশকে রক্তাক্ত ও কলুষিত করবে না। পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, সমাজের যেসব শুভবাদী মানুষের নিয়ত সহযোগিতা পেয়েছি ও পাচ্ছি, তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, একই সঙ্গে ধন্যবাদ জানাই গণমাধ্যমে কর্মরত সব বন্ধুকে যাদের সহমর্মিতা ও সহযোগিতা আমাদের কার্যক্রমকে গতিশীল ও ত্বরান্বিত করেছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.), সাবেক সংস্কৃতি ও তথ্যসচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ, ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান মাওলানা মিছবাহুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ খ্রিস্টান এ্যাসোয়িশনের সভাপতি উইলিয়াম প্রলয় সমাদ্দার প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল)।