ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রলীগ

পদবঞ্চিতরা বিতর্কিত ৯৯ জনের নাম প্রকাশ করেছে

প্রকাশিত: ০৯:২৩, ১৭ মে ২০১৯

 পদবঞ্চিতরা বিতর্কিত ৯৯  জনের নাম  প্রকাশ  করেছে

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের ওপর পূর্ণ আস্থা আছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের প্রতিবাদী ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। তারা নতুন করে কমিটি গঠন করতে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ চেয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিতর্কিত ও অভিযুক্ত ৯৯ জনের তালিকা প্রকাশ করেছেন। তবে কমিটি পুনর্গঠনের নামে শেখ হাসিনার নির্দেশ ফের অমান্য করা হলে তার শক্ত জবাব দিতে নেতাকর্মীরা প্রস্তুত বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রলীগের গত কমিটির সাবেক প্রচার সম্পাদক সাঈফ উদ্দিন বাবু। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন কর্মসূচী ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক রানা হামিদ, ছাত্রলীগের উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও ডাকসুর সদস্য তিলোত্তমা শিকদার, ডাকসুর সদস্য তানভীর হাসান সৈকত, জসীমউদদীন হলের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান, কুয়েত-মৈত্রী হল ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদা পারভীন, সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশা প্রমুখ। সাঈফ বাবু বলেন, ৩০১ সদস্যের যে কমিটি করা হয়েছে সেখানে শতাধিক বিতর্কিত লোকের জায়গা হওয়া সত্ত্বেও ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মাত্র ১৭ জনের নাম প্রকাশ করেছে। আমরা তাদের প্রতি আহ্বান রাখছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মতো বাকি সবাইকে খুঁজে বের করে সংগঠন থেকে বিতাড়ন করতে হবে। কোন দাগি আসামি, মাদককারবারি, মাদকসেবী ও গঠনতন্ত্রবহির্ভূত ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী হতে পারে না। এসব লোক ছাত্রলীগের টিউমার, যা একসময় ক্যান্সারে পরিণত হবে। আদর্শের সংগঠন ছাত্রলীগ অপকর্মকারীদের অভয়ারণ্য নয়। একইসঙ্গে সদ্যগঠিত কমিটিতে জায়গা পাওয়া বিবাহিত, বিএনপি-জামায়াত পরিবারের সন্তান, হত্যা মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। তিনি বলেন, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন এবং সে নিদের্শনার বাস্তবায়ন আমরা ইতোমধ্যে দেখতে পাচ্ছি। সেহেতু আমরা আর নতুন কোন কর্মসূচীতে যাচ্ছি না। তবে যদি এর ব্যত্যয় ঘটে তাহলে আমরা আবার আন্দোলনে যাব। এর জন্য আমরা কোন সময় বেঁধে দেব না। আমরা আস্থা রাখছি। কমিটি পুনর্গঠনের নামে ফের শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করা হলে তার শক্ত জবাব দিতে আমরাও প্রস্তুত আছি। কবি জসীমউদদীন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান বলেন, ছাত্রলীগের কমিটি পুনর্গঠনের যে দাবি আমরা জানিয়েছিলাম, তা যৌক্তিক ছিল বলেই সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বুধবার ১৭ বিতর্কিতের তালিকা দিতে বাধ্য হয়েছেন। আমাদের চাওয়া, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পষ্ট নির্দেশ অনুযায়ী যেন কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। শাহেদ খান বলেন, বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দীর্ঘ এক বছর ধরে আমাদের একটি বিতর্কিত কমিটি উপহার দিয়েছেন। তারা কিভাবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিতর্কমুক্ত কমিটি দেবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আমরা তাদের ওপর আস্থা রাখতে পারছি না। নতুন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি। দুঃখের বিষয় হলো যারা বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠনকে বিতর্কমুক্ত রাখতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাদেরকেই বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে, যেটা কোনক্রমেই কাম্য নয়। এছাড়া ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সবাইকে ‘ডোপ টেস্ট’ করানোর দাবি জানান পদবঞ্চিতরা।
×