নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ১৫ মে ॥ দেলদুয়ার উপজেলার নাল্লাপাড়া বাজারের দক্ষিণ পাশে নিভৃত পল্লী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠেছে একটি কার্টুন তৈরির বোড কারখানা। কিন্তু কারখানার বর্জ্যে মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষণ হলেও যেন দেখার কেউ নেই। কারখানায় প্রতিদিন অসংখ্য বোড তৈরির কাজ করা হয়ে থাকে। তবে কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই কারখানার বর্জ্য ফেলে দেয়া হচ্ছে পাশের এলেংজানি নদীতে। এছাড়া বর্জ্যরে কিছু অংশ খোলা জায়গাতেও ফেলে রাখতে দেখা গেছে।
ফলে একদিকে নদীর পানি অন্যদিকে কারখানার বর্জ্যরে দুর্গন্ধ বায়ু দূষণ করছে। বোড কারখানার বর্জ্যে মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষণের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার জনস্বাস্থ্য। নদীর পানি দিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী গোসলসহ দৈনন্দিন কাজ করে থাকে। এতে নদীর পানিতে গোসল করে কারও কারও দেখা দিচ্ছে নানা রকম চর্ম রোগ। ক্ষতিকর দুর্গন্ধে অনেকেই অসুস্থবোধ করে থাকে। স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, কারখানার বর্জ্য ছেড়ে দিলে নদীর মাছ মরে ভেসে উঠে। গ্রামের লোকজন নদীতে গোসল করলে তাদের শরীরে চুলকানি দেখা দেয়। তাদের কাছে বর্ষা মৌসুমে কারখানার বর্জ্য সবচেয়ে বেশি বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। নাল্লাপাড়া বাজারসহ আশপাশের এলাকায় বর্জ্য মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়ায়। সে সময় দুর্গন্ধে এ অঞ্চলের মানুষের চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে। আশীর্বাদ নয় কারখানাটি এলাকাবাসীর নিকট যেন অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার নাল্লাপাড়া বাজোরের পাশেই লালহাড়া গ্রামের কাছে কারখানাটি স্থাপন করা হয়েছে। কারখানা থেকে মাটির নিচ দিয়ে পাইপের মাধ্যমে পাশের এলেংজানি নদীর সঙ্গে বর্জ্য ফেলার লাইন করা হয়েছে। কারখানার আশপাশের খোলা জায়গাতেও বর্জ্য ফেলে রাখা রয়েছে।
কারখানার ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে আবদুল মালেক ভূইয়া বলেন, কারখানার বর্জ্যে বর্ষা মৌসুমে দুই একবার নদীতে ছেড়ে দেয়া হলেও পরিবেশের তেমন ক্ষতি হয় না। খোলা জায়গায় ফেলে রাখা বর্জ্য স্থানীয়রা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। তবে বর্ষা মৌসুমে একটু দুর্গন্ধ হয়। এতেও পরিবেশের তেমন ক্ষতি হয় না বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাদিরা আখতার বলেন, নাল্লাপাড়া এলাকায় বোড কারখানা ও পরিবেশ দূষণের বিষয়টি তাদের নজরে নেই। তবে সরেজমিন তদন্ত করে ওই বোড কারখানা ও পরিবেশ দূষণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: