ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পাবনায় কেরোসিন ঢেলে অগ্নিসংযোগ ॥ দগ্ধ গৃহবধূর ৫ দিন পর মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৮:৫৭, ১৬ মে ২০১৯

 পাবনায় কেরোসিন ঢেলে অগ্নিসংযোগ ॥ দগ্ধ গৃহবধূর  ৫ দিন পর  মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদতা, পাবনা, ১৫ মে ॥ শশুর বাড়ির লোকজনের দেয়া আগুনে দগ্ধ গৃহবধূ ফজিয়া খাতুন ৫দিন ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসারত অবস্থায় অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত ফজিয়া খাতুন তালিমনগর গ্রামের ছুরমান মন্ডলের স্ত্রী। আমিনপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম মঈনুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ছুরমান মন্ডল কয়েক বছর ধরে মালয়েশিয়া থাকেন। সেখান থেকে তিনি প্রতিমাসে তার বোন সামেলা খাতুনের ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠান। ননদ সামেলা খাতুন প্রতিমাসে মাত্র ৩ হাজার টাকা ভাবি ফজিয়া খাতুনকে দেয়। কিন্তু অল্প টাকায় সংসার চালানো সম্ভব না হওয়ায় শাশুড়ি-ননদ, ভাসুর ও জায়ের সঙ্গে কলহ দেখা দেয় প্রবাসী স্বামীর স্ত্রী ফজিয়া খাতুনের। এ নিয়ে ৯ মে ভোরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শাশুড়ি, ননদ ও ভাসুরের বউ মিলে ফজিয়া খাতুনের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে মারা যান গৃহবধূ ফজিয়া খাতুন। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বাবা ফজিবুর রহমান বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ননদ সামেলা খাতুনকে গ্রেফতার করলেও অন্য আসামিরা এখনও পলাতক রয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম হোসেন জানান, আগুনে দগ্ধ গৃহবধূর মৃত্যুর কারণে মামলাটিতে একটি ধারা যুক্ত হয়ে হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
×