ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্ষণ মামলায় ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেল রুবেল

প্রকাশিত: ০৮:৪১, ১৫ মে ২০১৯

ধর্ষণ মামলায় ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেল রুবেল

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ১৪ মে ॥ চাচাত ভাই মনির প্যাদাকে তানিয়া নামের একটি মেয়েকে দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় ফাঁসাতে গিয়ে রুবেল প্যাদা নিজেই ফেঁসে গেল। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার ছুরিকাটা গ্রামে। এ ঘটনার তানিয়া বাদী হয়ে রুবেলের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় মামলা করেছে। এ ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে সোমবার রাতে। জানা গেছে, উপজেলার ছুরিকাটা গ্রামের আলতাফ প্যাদার ছেলে রুবেল প্যাদার সঙ্গে তার চাচাত ভাই মনির প্যাদার জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ওই চাচাত ভাইকে মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় ফাঁসাতে তানিয়া নামের একটি মেয়েকে ঠিক করে। রুবেল প্যাদা সোমবার রাতে ওই তানিয়াকে দিয়ে আমতলী থানায় চাচাত ভাই মনির প্যাদা ও একই এলাকার তোফাজ্জেল বেপারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার প্রস্তুতি নেয়। সুযোগ বুঝে তানিয়া ওসি মোঃ আবুল বাশারের কাছে রুবেল প্যাদা ও তার স্ত্রী চম্পা বেগম তাকে কাজ দেয়ার কথা বলে আটকে অসামাজিক কাজে বাধ্য করছে এবং সাজানো মিথ্যা ধর্ষণ মামলার প্রস্তুতির কথা স্বীকার করে আসল রহস্য ফাঁস করে দেয়। পরে তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে রুবেল প্যাদা ও চম্পার বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ১১/১২ ধারায় মামলা দায়ের করে। তাৎক্ষণিক পুলিশ রুবেল প্যাদাকে আটক করে। মঙ্গলবার পুলিশ তাকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে। আদালতের বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন তাকে জেলহাজতে পাঠানো নির্দেশ দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, রুবেল প্যাদা তার দ্বিতীয় স্ত্রী চম্পা দীর্ঘদিন ধরে মেয়েদের দিয়ে এলাকার পতিতাবৃত্তির ব্যবসা করে আসছে। তাদের এমন অপকর্মে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। তারা আরও বলেন, রুবেল প্যাদার দ্বিতীয় স্ত্রী চম্পা আমতলী উপজেলা পরিষদের সামনে ভাতের হোটেলের দোকান দেয়। হোটেল ব্যবসার আড়ালে তারা চালায় অনৈতিক কাজ। এতে উপজেলা পরিষদ এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। দ্রুত উপজেলা পরিষদ এলাকা থেকে চম্পার হোটেল বন্ধের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
×