ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন সহকারী বাণিজ্যমন্ত্রীর সাক্ষাত

প্রকাশিত: ১০:২০, ১৪ মে ২০১৯

  প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন সহকারী বাণিজ্যমন্ত্রীর সাক্ষাত

যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্যমন্ত্রী ইয়ান স্টেফের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সোমবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপির সঙ্গে তার গুলশানের কার্যালয়ে সাক্ষাত করেছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার এ সময় উপস্থিত ছিলেন। -খবর বাসসর। এ সময় অনুষ্ঠিত বৈঠকে বেসরকারী উপদেষ্টা সালমান রহমান প্রতিনিধি দলের কাছে দারিদ্র্য দূরীকরণ, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, কৃষি, অবকাঠামো ও অর্থনীতিসহ নানা আর্থ-সামাজিক খাতে গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসামান্য অর্জনের বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার পাশাপাশি ব্যবসা সহজিকরণের লক্ষ্যে সরকার যেসব ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে- সেগুলোর মধ্যে উন্নততর ব্যবসায়িক ও বিনিয়োগ পরিবেশ, ডিজিটাইজেশন, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য চালু হওয়া ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’র কথাও মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছে উল্লেখ করেন। এছাড়া সালমান রহমান ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে বৈদেশিক বিনিয়োগ আরও বেগমান করতে সরকারের ভবিষ্যত পরিকল্পনাসমূহও ব্যাখ্যা করেন। মার্কিন সহকারী বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের অসাধারণ অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে মার্কিন কোম্পানিসমূহের মধ্যে যে ক্রমবর্ধমান আস্থা ও আশাবাদ বিরাজ করছে- তা উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। তিনি জানান, মার্কিন বহু কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ কিংবা বিদ্যমান ব্যবসা সম্প্রসারণে আগ্রহী। এক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশের জ্বালানি, অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি, এলএনজি খাত ও বিশেষ করে ড্রেজিংয়ে মার্কিন কোম্পানিগুলোর আগ্রহের কথা উল্লেখ করেন। স্টেফ বাংলাদেশে মার্কিন কোম্পানিসমূহের জন্য ই-কমার্স ও ব্যাংকিং সিস্টেম সংক্রান্ত কিছু চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন। তিনি মেধাস্বত্ব লঙ্ঘন ও নকল (কাউন্টারফেইট) পণ্যের প্রসঙ্গও বৈঠকে উত্থাপন করেন। উপদেষ্টা জবাবে বলেন, স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশসমূহের তালিকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের উত্তরণ শেষে মেধাস্বত্ব বিষয়ক বিধি-বিধান যথাযথ প্রতিপালনসহ পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবেলার উদ্দেশে একটি স্থায়ী সেল সৃষ্টি করা হয়েছে। নকল পণ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের কোন গুরুতর ঘটনা তার নজরে আসেনি। তবে তিনি প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেন, পণ্য নকল করার যেকোন ঘটনার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবে।
×