ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নান্দাইলে জোঁকের উপদ্রুব ॥ ধান কাটতে শ্রমিকের অনীহা

প্রকাশিত: ০৮:৩৯, ১৪ মে ২০১৯

 নান্দাইলে জোঁকের উপদ্রুব ॥ ধান কাটতে শ্রমিকের  অনীহা

সংবাদদাতা, নান্দাইল, ময়মনসিংহ, ১৩ মে ॥ উপজেলায় গত দুই সপ্তাহ ধরে চলছে বোরো ধান কাটার ধুম। এ বছর বোরো ধানের মূল্য কম, চিটায় উৎপাদন কম ও খরচ বেশি হওয়ায় কৃষক বিপাকে পড়েছেন। তার ওপর ধান কাটতে শ্রমিকরা জুড়ে দিচ্ছেন র্শত। জমিতে জোঁক থাকলে শ্রমের মূল্য বেশি দিতে হবে। জানা গেছে, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের নিচু জমিতে জোঁকের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। বোরো ধান কাটার জন্য শ্রমিকের কাছে গেলে তারা র্শত জুড়ে দিচ্ছে। জমিতে জোঁক থাকলে কাটা (১০ শতক) প্রতি দুই শত টাকা বেশি দিতে হবে। উপজেলায় এ বছর ৬শ’ টাকা মূল্যে শ্রমিক ধান কাটছে। কিন্তু যে জমিতে জোঁকের উপদ্রব রয়েছে সেখানে ৮শ’ টাকা দিয়ে ধান কাটাতে হচ্ছে। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। চারিআনীপাড়া গ্রামের কৃষক মফিদুল ইসলাম (৬০) জানান, নিচু জমিতে জোঁকের উৎপাত প্রতি বছর থাকে। কিন্তু এ বছর জোঁকের উৎপাত খুব বেশি। বড়বড়ি, গুগলী, কানাউলা, জারিয়া, মাটিকাটা ও বাড়রা বিলের বোরো জমিতে এদের উপদ্রব সব চেয়ে বেশি। ভাটি সাভার গ্রামের শ্রমিক ইদ্রিস আলী (৬০), রেজ্জাক মিয়া (৫২) ও লোকমান মিয়া (৬৫) জানান, তারা প্রতিদিন ৬শ’ টাকায় কৃষকের বাড়িতে গিয়ে ধান কাটছেন। তবে শর্ত হলো জমিতে জোঁক থাকতে পারবেনা। জোঁক থাকলে ৮শ’ টাকার কমে ধান কাটতে যাচ্ছেন না। কৃষকরা বলছে, একে তো বৈরী আবহাওয়া তার ওপর ধানের দাম কম। জমিতে জোঁক থাকায় বেশি টাকার শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে গিয়ে উৎপাদন খরচ বেশি হচ্ছে। পানি, সার, কীটনাশক ও উচ্চমূল্যে শ্রমিকের খরচ মিটাতে গিয়ে বোরো ধানের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে তারা। এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, প্রতি বছর এই সময় নিচু জমিতে পানি জমে। এই পানিতে জোঁকের দেখা মিলে। কৃষকের মাধ্যমে জানতে পেরেছি এ বছর জোঁকের উপদ্রব কিছুটা বেশি। ধান কাটার পূর্বে জমিতে কেমিক্যাল ছিটিয়ে নিলে জোঁকের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
×