ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোরেলগঞ্জে ১০ গ্রামের মানুষের ভরসা একটি সাঁকো

প্রকাশিত: ০৮:৩৯, ১৪ মে ২০১৯

 মোরেলগঞ্জে ১০ গ্রামের মানুষের ভরসা একটি সাঁকো

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের পূর্ব-সোমাদ্দারখালী গ্রামের কাঁটাখালের দুই পাড়ের ১০ গ্রামের কমপক্ষে ১৫ হাজার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা একটি বাঁশের সাঁকো। স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষার্থীদেরও চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় এই সাঁকো দিয়েই। জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে এখানে সরকারীভাবে নির্মিত কাঠের পুলটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায়। এরপর এলাকার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল খেয়া নৌকা। পরে পুল বা ব্রিজ নির্মাণে নতুন করে কোন বরাদ্দ না মেলায় বাধ্য হয়ে গ্রামবাসী নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ১০ গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া কাঁটাখালের ওপর এ সাঁকোটি নির্মাণ করেন। ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্যরে সাঁকোটি নির্মাণে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। এ সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ চলাচল করেন, যার বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। শিক্ষক জাকির হোসেন হাওলাদারসহ সোমাদ্দারখালী গ্রামের কয়েক শিক্ষার্থী বলেন, ঝুঁকির মধ্যে প্রতিদিনই এলাকাবাসীসহ শিক্ষার্থীদের এই সাঁকো পারাপার হতে হয়। পূর্ব-সোমাদ্দারখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আফজাল হোসেন মাসুম বলেন, সুন্দরবনের সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন জিউধরার ওই এলাকায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ভূমি অফিসসহ সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। ফলে অফিসিয়াল কাজে আসা লোকদের বিকল্প যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে পারাপার হতে হয়। অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ ওই স্থানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আর্জি জানান। বরিশাল স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল থেকে জানান, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার হয়ে গেলেও একটি ব্রিজের অপেক্ষায় এখনও দিনকাটে জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন ও মাদারীপুর জেলার ডাসার থানার সীমান্তবর্তী দক্ষিণ ভাউতলী গ্রামের পাঁচ হাজার বাসিন্দাদের। প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ ওই সাঁকো দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও জনসাধারণকে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। ভুক্তভোগীরা জরুরী ভিত্তিতে ওই এলাকায় একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। কাজী বাকাই ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোতালেব সরদার, সমাজসেবক মিজান চৌধুরী, নেছার উদ্দিনসহ একাধিক প্রবীণ বাসিন্দারা জানান, ডাসার থানার দক্ষিণ ভাউতলী গ্রামের বাসিন্দাদের মাদারীপুর জেলা সদরে যাতায়াত করতে হলে গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মেদাকুল গ্রামের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
×