ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

চবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ০৮:৩৬, ১৪ মে ২০১৯

চবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার প্রতিবাদ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার প্রতিবাদে সোমবার মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা। চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে দুপুরে আয়োজিত কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, স্বার্থে যখন আঘাত লাগে তখনই স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল নিজ স্বার্থ চরিতার্থে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে। উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে উন্নয়নমূলক শিক্ষামুখী বিভিন্ন যুগান্তকারী উদ্যোগ এবং এর সফল বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজে করে যাচ্ছে। একাডেমিক, প্রশাসনিক এবং ভৌত অবকাঠামোর দৃশ্যমান উন্নয়নের ফলে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় এখন দেশের এক অনন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে। চবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং চবি কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং বিজ্ঞান অনুষদের উচ্চমান সহকারী সুমন মামুনের পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন চবি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ, নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি মোঃ শামীম হাসান, হিসাব নিয়ামক (ভারপ্রাপ্ত) ফরিদুল আলম চৌধুরী, চবি অফিসার সমিতির সভাপতি এ কে এম মাহফুজুল হক এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ, চবির সাধারণ সম্পাদক মশিবুর রহমান। কর্মসূচীতে চবি পরিবারের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, শত বাধাবিপত্তি আর ষড়যন্ত্রকারীদের রক্তচক্ষু এমনকি হত্যার হুমকিকেও উপেক্ষা করে উপাচার্যের নেতৃত্বে বর্তমান প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়কে সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে নিচ্ছেন। চবিতে চার বছর আগেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির কোন চিহ্নই ছিল না। বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি স্থাপন, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মারক ‘জয় বাংলা’ ভাস্কর্য এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারবর্গের স্মৃতিকে প্রজন্মের সন্তানদের কাছে চির অম্লান করে রাখার প্রয়াসে তাদের নামে বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। এছাড়া নিজস্ব অটোমেশন পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ, সাড়ে ছয় বছরের সেশনজট শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা, গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ই-লার্নিং সেন্টার চালু, আইসিটি সেল ও বিশ^বিদ্যালয় ওয়েভপোর্টালের আধুনিকায়ন, মেডিক্যাল সেন্টারে আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সংযোজনসহ ‘স্টুডেন্ট কাউন্সেলিং সেন্টার’ স্থাপন, পরিবহন পুলে এসি বাসসহ ২১টি গাড়ি সংযোজন, নতুন নতুন অনুষদ-বিভাগ প্রতিষ্ঠা করাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কর্নারে উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। তারা আরও বলেন, একটি প্রশাসন দায়িত্বের প্রতি কতটুকু অবিচল আর বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতি কতটুকু ভালবাসা থাকলে স্বার্থান্বেষী মহলের হত্যার হুমকিকে উপক্ষো করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ বছরের অরক্ষিত ও বেদখল হয়ে যাওয়া ৫০০ একর জায়গা উদ্ধার করে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণে সাহসী ভূমিকা রাখতে পারে তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বর্তমান প্রশাসন। শতভাগ সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে পরিচালিত বিশ^বিদ্যালয় বর্তমান প্রশাসনের একের পর এক ঈর্ষণীয় সাফল্যে অবৈধ, অনৈতিক, সুবিধাবাদী, স্বার্থান্বেষী মহলের স্বার্থে আঘাত লাগতেই পারে। সেই স্বার্থান্বেষী মহলই চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়কে সঙ্কটে ফেলতে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করে তাদেরই নীলনক্সা বাস্তবায়নে অশুভ-অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। কারণ তারা বুঝতে পেরেছে বর্তমান প্রশাসন যতদিন দায়িত্বে থাকবে, পেছনের দরজা দিয়ে স্বার্থ উদ্ধার কোনদিনই সম্ভব হবে না। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিশ^বিদ্যালয় পরিবার ঐক্যবদ্ধ ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। বক্তারা ষড়যন্ত্রের সকল জাল ছিন্ন করে বিশ^বিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
×