ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

হাড্ডি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে মাংসের দাম বাড়িয়েছেন দক্ষিণ মেয়র

প্রকাশিত: ১০:৩৫, ১৩ মে ২০১৯

 হাড্ডি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে মাংসের দাম বাড়িয়েছেন দক্ষিণ মেয়র

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রমজান উপলক্ষে মাংসের দাম নির্ধারণে মহানগরীর মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন যে বৈঠক করেছেন সেখানে কোন মাংস ব্যবসায়ী ছিল না বলে দাবি করেছেন গাবতলী পশুর হাট ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, ওই বৈঠকে যারা ছিলেন তারা মাংস ব্যবসায়ী নয়, হাড্ডি ব্যবসা করেন। ওই বৈঠক বিষয়ে তারা কিছুই জানতেন না। তাছাড়া ভারত থেকে বৈধভাবে গরু আমদানি বন্ধ রয়েছে। সেক্ষেত্রে সীমান্ত উন্মুক্ত না হলে মাংসের দাম কমার সম্ভাবনা নেই। রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক গাবতলী পশুর হাট নিয়ে গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য উপস্থাপনের প্রতিবাদে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গাবতলী পশুর হাট কর্তৃপক্ষের সদস্য সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘গাবতলী পশুর হাটে কোন চাঁদা আদায় করা হয় না। সেখানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) নির্ধারিত হাসিল- গরু প্রতি ১০০ টাকা, মহিষ প্রতি ১৫০ টাকা ও ছাগল প্রতি ৩৫ টাকা আদায় করা হয়। তাই এর কারণে মাংসের দাম বৃদ্ধি, এই দাবি অযৌক্তিক।’ তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীরা শুধু গাবতলী হাট থেকে পশু কেনেন না। তারা অন্যান্য হাট থেকেও গরু কিনেন। গাবতলী ছাড়া আরিচা হাটে ৫১০ টাকা, আশুলিয়ায় ৪০০ টাকা, কেরানীগঞ্জে পাড়াগাঁওয়ে ৪০০ টাকা, ফরিদপুরের অরুন খোলায় ৬০০ টাকা, ধামরাইয়ে ৫০০ টাকা, কমলাপুরে ৪০০ টাকা, রাজশাহী সিটিতে ৪৫০ টাকা, কালিয়াকৈরের কাইতলায় ৩৫০ টাকা, বাইনাপাড়া হাটে ৪০০ টাকা আদায় করা হয়। যার তুলনায় গাবতলী হাটে হাসিল অনেক কম। গাবতলী হাটে সরকার নির্ধারিত ফি নেয়ায় মাংসের দাম বাড়ানোর কোন যৌক্তিকতা নেই। সংবাদ সম্মেলনটি যৌথভাবে ‘গাবতলী গরুর হাট কর্তৃপক্ষ, পশু ব্যবসায়ী ও মাংস ব্যবসায়ীদের’ নামে করা হলেও সেখানে দুই একজন মাংস ব্যবসায়ী ছাড়া উল্লেখযোগ্য কাউকে দেখা যায়নি। এমনকি হাট ইজারাদার লুৎফুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন না। সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়- প্রতি রমজানে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র যখন মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসেন, গত কয়েক বছর ধরে সেখানে গাবতলী হাট ইজারাদারের বিরুদ্ধে মাংস ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজির অভিযোগ করে থাকেন। কিন্তু সেখানে আজকের আয়োজক মাংস ব্যবসায়ীরা কেন প্রতিবাদ করেন না? জবাবে তারা বলেন, ‘আমরা ওই অনুষ্ঠানের কথা জানি না। ওই বৈঠকের কথা আমাদেরকে জানানো হয় না। সেখানে যারা যান তারা মাংস ব্যবসায়ী নয়, হাড্ডি ব্যবসায়ী।’ তবে তাদের দাবি মাংস ব্যবসায়ী হিসেবে শুধু তারাই ১০০ টাকা হাসিলের সুবিধা পান যাদের তালিকা দুই সিটি কর্পোরেশন থেকে দেয়া হয়েছে। আর সিটি কর্পোরেশনের ওই তালিকা অনুযায়ী ডিএসসিসিতে ৪৭৪ জন ও ডিএনসিসিতে ৩৭০ জন ব্যবসায়ী রয়েছে।
×