ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

অভিজ্ঞদের ঘিরেই স্বপ্ন দেখছেন ফিঞ্চ

প্রকাশিত: ১০:২১, ১২ মে ২০১৯

 অভিজ্ঞদের ঘিরেই স্বপ্ন দেখছেন ফিঞ্চ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ৩০ মে ইংল্যান্ডে বসছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১২তম আসর। গত বছর বল টেম্পারিং ইস্যুতে বড় দুই তারকা স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের নিষেধাজ্ঞায় কার্যত ভেঙ্গে পড়েছিল গোটা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট। এ্যারন ফিঞ্চের নেতৃত্বে কঠিন সংগ্রামের পর সম্প্রতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। স্মিথ-ওয়ার্নার ফিরলেও অসিদের শিরোপা পুনরুদ্ধারের গুরুদায়িত্ব ফিঞ্চের কাঁধে। এমন ঝক্কি ঝামেলার পর সদ্য গুছিয়ে ওঠা দলটি কেমন করবে? ফিঞ্চ মনে করেন অভিজ্ঞরাই দলকে ভাল কিছু উপহার দেবেন। তিনি বলেন, ‘ছয়জন যারা বিশ্বকাপে এর আগে খেলেছে তারা নতুনদের উদ্বুদ্ধ করতে পারবে। বিশ্বকাপের মঞ্চে কিভাবে নিজেকে সাজাতে হবে, গোছাতে হবে, তা যদি একটুও নতুনরা বুঝতে পারে সেটা হবে অনেক উপকারী। আপনি যখন অনেক কথা বলবেন এবং মাঠে সে রকম কিছু হবে, তখন আপনি একধাপ এগিয়ে থাকবেন। এ দলের সবচেয়ে ভাল দিক হচ্ছে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আছে এবং মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এটা আমাদের জীবনের সেরা সময় এবং বিশ্বকাপ এ জন্যই অনন্য।’ উল্লেখ্য, ২০১৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া দলে থাকা ছয়জন ক্রিকেটার এবার ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে খেলবেন। ফিঞ্চসহ রয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও প্যাট কামিন্স। এই ছয় ক্রিকেটারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় অস্ট্রেলিয়া। গত বিশ্বকাপের পর থেকে এ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল যতটা ধারাবাহিক, ঠিক ততটাই অধারাবাহিক। এই সময়ে ৭৬ ওয়ানডেতে ৩৭ জয়ের পাশাপাশি অসিরা হেরেছে ৩৬টি। ৩ ম্যাচে কোন ফল হয়নি। ২০১৫ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর একাধিক পরিবর্তন ও বিভিন্ন বিতর্কের জন্ম দেয়ায় সীমিত পরিসরে অস্ট্রেলিয়ার পারফর্মেন্সে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে বল টেম্পারিং কাে স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার জড়ানোর পর অস্ট্রেলিয়ার পারফর্মেন্সে রীতিমতো ধস নামে। যদিও শেষ ছয় মাসে এ্যারন ফিঞ্চের নেতৃত্বে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। ভারতের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে তারা। বিশ্বকাপের আগে আবার দলে ফিরেছেন স্মিথ ও ওয়ার্নার। ইতিবাচক এ দিকগুলোই পুরো দলের উৎসাহ ফিরিয়ে এনেছে। অধিনায়ক ফিঞ্চের বিশ্বাস, আত্মবিশ্বাসের পাশাপাশি অভিজ্ঞদের অভিজ্ঞতা নিয়েই অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ অভিযানে যাচ্ছে। ‘আমি মনে করি অভিজ্ঞদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা অনেক উপকারে আসবে। কারণ তারা জানে বিশ্বকাপ জয়ের জন্য কি করা লাগবে। কিভাবে পুরোটা সময় কাজে লাগানো লাগবে। এটা ছাড়া আসলেই সিদ্ধান্তগুলো কঠিন হয়ে যায়। আপনাকে অবশ্যই আপনার নিজের জায়গায় শতভাগ দিতে হবে। আপনার প্রতিপক্ষ কাউকেই আপনি অবহেলা করতে পারবেন না।’ স্মিথ ও ওয়ার্নার ফেরায় উসমান খাজাকে ব্যাটিং করতে হবে লেট অর্ডারে। ওপেনিংয়ে থাকবেন ফিঞ্চ ও ওয়ার্নার। তিনে স্মিথ। চারে খাজা। স্মিথ ও ওয়ার্নার ফিরে আসায় খুশি ফিঞ্চ, ‘তারা দুজন এ মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। তারা যথেষ্ট মূল্যবান। তারা আমাদের সেরা খেলোয়াড়। কোন চিন্তা না করেই বলা যায় তাদের পেয়ে আমরা খুশি। সামনে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সময় আসছে। সুযোগ আসছে বড় কিছু পাওয়ার। আমরা সেই পথেই এগিয়ে যাচ্ছি।’
×