ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মাদ্রিদ ওপেনে সিমোনা-বার্টেন্স শিরোপা লড়াই

প্রকাশিত: ১০:১৮, ১২ মে ২০১৯

 মাদ্রিদ ওপেনে সিমোনা-বার্টেন্স শিরোপা লড়াই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শুধু শিরোপা জেতারই লড়াই নয়, বিশ্বের এক নম্বর স্থান ফিরে পাওয়ার লড়াই। বর্তমান বিশ্বসেরা নাওমি ওসাকা বেশ আগেভাগেই বিদায় নিয়েছেন। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছেন আরেক শীর্ষস্থানের দাবিদার পেত্রা কেভিতোভা। এখন তাই রাস্তা পরিষ্কার সিমোনা হ্যালেপের। রোমানিয়ার এ তারকা চলমান মিউচুয়া মাদ্রিদ ওপেনের ফাইনালে উঠেছেন। সেমিফাইনালে সাবেক এ বিশ্বসেরা সুইজারল্যান্ডের সুন্দরী তারকা বেলিন্ডা বেনচিচকে ৬-২, ৬-৭ (২-৭), ৬-০ সেটে হারিয়ে এখন শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধারের খুব কাছাকাছি চলে এসেছেন। সে জন্য ফাইনালে তার জিততে হবে হল্যান্ডের তারকা কিকি বার্টেন্সের বিপক্ষে। কোয়ার্টারে কেভিতোভার পর সেমিতে ডাচ তারকা বার্টেন্স যুক্তরাষ্ট্রের স্লোয়ানে স্টিফেন্সকে হারিয়ে দিয়েছেন। মাত্র কয়েকদিন আগেই সিমোনাকে দুই নম্বর থেকে হটিয়ে কেভিতোভা ডব্লিউটিএ র‌্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বরে উঠে এসেছিলেন। গতবারের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এবারও যেভাবে খেলছিলেন তাতে করে নতুন এক ইতিহাস দেখতে পাচ্ছিলেন সবাই। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে কেভিতোভাকে হারিয়ে দেন বার্টেন্স। সরাসরি ৬-২, ৬-৩ সেটে কেভিতোভাকে বিধ্বস্ত করেন বার্টেন্স। গত বছর ফাইনালে এই চেক তারকার কাছে হেরেই রানার্সআপ হয়েছিলেন। এবার প্রতিশোধটা ভালভাবেই নিয়েছেন। সেই ডাচ তরুণী এবার স্টিফেন্সের বিরুদ্ধে নামেন সেমির লড়াইয়ে। এর আগে দুইবার মার্কিন এই কৃষ্ণকন্যার বিরুদ্ধে খেলতে নেমে জিততে পারেননি বার্টেন্স। এবার ঠিকই তিনি জিতে গেছেন। সরাসরি ৬-২, ৭-৫ সেটে স্টিফেন্সকে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখেন বার্টেন্স। বিশ্বের ৭ নম্বর র‌্যাঙ্কিংধারী ডাচ এ তারকা চলতি বছর শুধু সেন্ট পিটার্সবার্গে শিরোপা জিতেছেন। এবার ক্যারিয়ারের নবম শিরোপার জন্য লড়বেন তিনি মাদ্রিদে। জয়ের পর তিনি বলেন, ‘আমি একেবারেই অবিশ্বাস্যরকম অনুভব করছি। ফাইনালে ওঠা দারুণ ব্যাপার এবং আমি দুই সেটে শেষ করতে পেরে অনেক খুশি।’ ফাইনালে অবশ্য ফর্মের তুঙ্গে থাকা সিমোনার বিরুদ্ধে খেলতে হবে। সে বিষয়ে বার্টেন্স বলেন, ‘খুবই কঠিন ম্যাচ হতে যাচ্ছে। আমরা পরস্পরের বিপক্ষে অতীতে খেলেছি, সে কারণেই জানি এটা খুব কঠিন লড়াই হবে। অবশ্য আমি সে জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত, আরেকটি ধাক্কা দিতে চাই।’ সিমোনার অবশ্য শঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। ২৭ বছর বয়সী এ রোমান তরুণীও দারুণ ফর্মে আছেন। তিনি শিরোপা জিততে পারলে জাপানের তারকা ওসাকাকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হবেন র‌্যাঙ্কিংয়ে। এর আগে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে মাদ্রিদে শিরোপা জিতেছিলেন সিমোনা। সবমিলিয়ে অবশ্য ফাইনাল খেলেছেন চারবার। এবার পঞ্চম ফাইনাল খেলবেন, শিরোপা পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ফিরে পাওয়ার সুযোগ। আর সেই সুযোগটি করে নিয়েছেন সেমিতে ১৮তম র‌্যাঙ্কিংধারী বেনচিচকে ৬-২, ৬-৭ (২-৭) ও ৬-০ ব্যাবধানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেন। বেনচিচ শেষ আটে ওসাকাকে হারিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু এবার পারলেন না। সিমোনাই উঠলেন ফাইনালে। জয়ের পর উচ্ছ্বসিত রোমান এ তারকা বলেন, ‘বিশেষ এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে আবার ফিরে আসতে পারাটা চমৎকার অনুভূতি। এখানে খেলতে পেরে আমি সত্যিই সন্তুষ্ট। আমি অনেক সপ্রতিভ থেকে খেলে যাচ্ছি।’
×