ঝিনাইদহে মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে নিয়ে হাত-পা বেঁধে রাতভর ধর্ষণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ, ১১ মে ॥ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে দশম শ্রেণীর মাদ্রাসা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার খালকুলা গ্রামের বেতনীপাড়ার মাঠে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে তাকে মাঠ থেকে হাত-পা বাঁধা অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ধর্ষিতা মাগুরার শালিখা উপজেলার কোটবাগ মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্রী। ধর্ষক আলামিন খালকুলা গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে। শনিবার দুপুরে মেয়েটির পিতা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মেয়েটির পিতা শাখাওয়াত হোসেন জানান, আমার মেয়ে শুক্রবার রাতে বাড়ির পাশে একজনের বাড়িতে মোবাইল ফোন চার্জ দিতে যায়। সে ফোনটি চার্জে বসিয়ে বাড়ি আসছিল সে সময় আলামিন ও তার সহযোগিরা তাকে চোখ মুখ বেঁধে ধরে মাঠের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। সারারাত মেয়েকে আমরা খুঁজে পায়নি। পরদিন শনিবার সকালে মাঠে কাজ করতে গিয়ে লোকজন তাকে মাঠে পড়ে থাকতে দেখে। সেখান থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। তিনি ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। কালীগঞ্জ থানার ওসি ইউনুছ আলী জানান, মেয়েটি রাতে মোবাইল চার্জ দেয়ার কথা বলে পাশের বাড়িতে যায়। সেখানে টিভি দেখে বাড়ি ফিরছিল। ফেরার পথে আলামিন নামে একজন ও তার সহযোগিরা তাকে ধরে মাঠের মধ্যে নিয়ে হাত-পা বেঁধে রাতভর ধর্ষণ করে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। এরপর ধর্ষক আলামিন পলাতক রয়েছে। ধর্ষকদের ধরার জন্য পুলিশী অভিযান চলছে। ওসি আরও জানান, এর আগে আলামিন মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। মেয়েটি বিয়েতে রাজি হয়নি। সেই কারণে হয়তবা সে এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তাকে গ্রেফতারের পর বিস্তারিত জানা যাবে বলে তিনি জানান।