ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সৈয়দপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ২১ স্কুল ভবনে চলছে পাঠদান

প্রকাশিত: ০৯:০৬, ১২ মে ২০১৯

 সৈয়দপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ২১ স্কুল ভবনে  চলছে পাঠদান

সংবাদদাতা, সৈয়দপুর, নীলফামারী, ১১ মে ॥ সৈয়দপুরে ২১টি ঝুঁকিপূর্ণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে চলছে পাঠদান। ফাটল ধরেছে ভবনের দেয়াল, ছাদ ও বিমে। ঝুরঝুর করে খসছে পলেস্তারা। এতে অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন খুদে শিক্ষার্থীরা। তারপরও এসব বিদ্যালয় ভবনেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে নির্দেশনা পেলেই আগামী জুলাই মাসের মধ্যে এসব বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈয়দপুরের গোলাহাট রেলওয়ে কলোনি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কয়া ২নম্বর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিস্ত্রিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কয়া ১নম্বর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ২১টি বিদ্যালয় ভবনের বেহাল দশার চিত্র। এসব ভবণ ঝুঁিকপূর্ণ ঘোষণা করার পরও চলছে পাঠদান। বর্ষায় ভবনের ছাদ চুয়ে মেঝেতে জমে হাঁটুপানি। ভিজে যায় শিক্ষার্থীদের পোশাক আর বই-খাতা। যে কোন মুহূর্তে ভবন ধসে পড়ার আতঙ্ক মাথায় নিয়ে চলছে পাঠদান। গোলাহাট রেলওয়ে কলোনি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুল ইসলাম মুকুল বলেন, ছাদ থেকে পলেস্তারা খুলে পড়ছে। উপর তলায় কোন ক্লাস নেয়া হয় না। নিচতলায়ও ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন, শিক্ষা বিভাগকে জানানো হয়েছে। মিস্ত্রিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হালিমা খাতুন বলেন, বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনটি ১৯৮৭ সালে নির্মাণ করা হয়। বৃষ্টি হলে ছাদ চুয়ে শ্রেণীকক্ষে পানি পড়ে। হাঁটুপানি জমা হয় ভেতরে। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হয়। কয়া ১নম্বর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, অতি পুরনো বিদ্যালয়টি নিয়ে আমরা অনেক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। অভিভাবকরা শঙ্কায় থাকেন। বিদ্যালয়ের বিম ভেঙ্গে হঠাৎ করে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি জানান, কর্তৃপক্ষের কাছে আমি অনুরোধ করব যাতে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে আতঙ্কের মধ্যে পাঠদানের কথা স্বীকার করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল হোসেন বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে নির্দেশনা পেলেই আগামী জুলাইয়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ শুরু করা সম্ভব। তিনি জানান, এসব বিদ্যালয় পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। পিইডিপি-৪ প্রকল্পের আওতায় এসব বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করা হবে। জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী মনিটরিং অফিসার হাসান তারিক বলেন, শুধু সৈয়দপুর উপজেলায় নয়, গোটা জেলায় অন্তত দেড় শ’ বিদ্যালয়ের এ রকম অবস্থা। সেগুলোর তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে নির্দেশনা এলে বাস্তবায়ন প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
×