ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাহাড় কাটার সংবাদ প্রকাশ

অপরাধীর টনক নড়েছে ॥ মিথ্যা তথ্য দিয়ে আইনগত বিজ্ঞপ্তি

প্রকাশিত: ০৯:১৩, ১১ মে ২০১৯

 অপরাধীর টনক নড়েছে ॥ মিথ্যা তথ্য দিয়ে  আইনগত বিজ্ঞপ্তি

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে আকবরশাহ মাজারের পাহাড় কেটে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শীর্ষক সংবাদটি প্রকাশিত হয় গত ৫ মে। প্রকাশিত সংবাদটির প্রতিবাদ না জানিয়ে তিনি চট্টগ্রাম আদালতের এ্যাডভোকেট জুয়েল চন্দ্র দাশের মাধ্যমে চট্টগ্রামের একটি স্থানীয় দৈনিকে গত ৯ মে আইনগত বিজ্ঞপ্তির আওতায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ প্রকাশ করেছেন। তবে প্রকাশিত এই বিজ্ঞপ্তিতে পরিবেশ অধিদফতর ও আকবরশাহ থানা পুলিশের অনুমতি নিয়ে পাহাড় কেটে সুরক্ষা দেয়াল নির্মাণ ও ১২ ফুট প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি স্বীকার করেন পুলিশের মেয়ে রওশন আক্তার চুমকী। এমনকি প্রতিবেদক সত্য সংবাদ প্রকাশ করায় আইনগত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি আইনে ও প্রেস কাউন্সিল আইনে মামলা দায়েরের হুমকি দিয়েছেন প্রতিবেদককে। প্রতিবেদকের বক্তব্য ॥ রওশন আক্তার চুমকী আইন পেশাজীবী জুয়েল চন্দ্র দাশের কাছে তথ্য গোপন করেই আইনগত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়েছে। কারণ পাহাড় কর্তনকারী পুলিশের মেয়ে চুমকী পরিবেশ অধিদফতরের চিঠিতে কি লিখা ছিল তা আইনগত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেননি। পরিবেশ অধিদফতর আকবরশাহ থানা পুলিশকে কোন চিঠি ইস্যু করেনি। আকবরশাহ থানা পুলিশ গত ৪ এপ্রিল রওশন আক্তার চুমকীর নির্দেশনায় পাহাড় কাটার সময় দুই শ্রমিককে পাহাড়কাটার যন্ত্রপাতিসহ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাদের মেট্রো আইনের ৮৮ ধারায় আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করে বলে আকবরশাহ থানার ওসি জাসিম উদ্দিন জানিয়েছেন প্রতিবেদককে। গত ৩০ এপ্রিল রাতে আবারও পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করলে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এ সময় পাহাড় কাটার ছবি সংরক্ষিত রয়েছে প্রতিবেদকের কাছে। এছাড়াও রাস্তা নির্মাণের অনুমতি দিবে সিটি কর্পোরেশন। সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অনুমতি দিবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এই দুই সংস্থার কোন অনুমতির তোয়াক্কা করেননি তিনি। অথচ, মিথ্যা তথ্য দিয়ে পরিবেশের পরিচালকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে স্বাক্ষর দেয়া হয়েছে আবেদনে। আবেদনকারী জায়গার মালিকানা দাবি করলেও আকবরশাহ মাজারের ওয়াকফ মালিকানা পাহাড় কেটে সীমানা প্রাচীর দেয়া হয়েছে। পরিবেশ পরিচালকের আদেশে পাহাড় কাটতে নিষেধ করা হলেও রাতের আঁধারে পাহাড় কাটা হলো। প্রকাশিত প্রতিবেদনে পাহাড় কেটে সীমানা নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক (মেট্রো) আজাদুর রহমান মল্লিকের বক্তব্যও রয়েছে। তিনি বলেছেন, রাস্তা নির্মাণের কাজ পরিবেশের নয়। সিটি কর্পোরেশন বা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাস্তার কাজ করে। তবে ওই মহিলা আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে কারণ, আবেদনকারী প্রবাসে থাকেন তা আমরা জানতাম না। পরিবেশ অধিদফতর পাহাড় কেটে সীমানা বা রাস্তা নির্মাণের অনুমতি দেয়নি। যে অনুমতির কথা বলছে মূলত পাহাড় কর্তন বা মোচন না করে রাস্তা সংস্কার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
×