ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কামাল আহমেদ ও শাহিনা লতার কণ্ঠে হারানো দিনের গান

প্রকাশিত: ০৯:০২, ১১ মে ২০১৯

কামাল আহমেদ ও শাহিনা লতার কণ্ঠে হারানো দিনের গান

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ রাজশাহী জেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে গত ৪ মে সন্ধ্যায় রাজশাহী বেতার শিল্পী সংস্থা আয়োজিত বরেণ্য সঙ্গীত শিল্পী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক (অনুষ্ঠান) কামাল আহমেদ ও কণ্ঠশিল্পী শাহিনা লতার বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শিল্পীরা হারানো দিনের গান পরিবেশন করে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। অনুষ্ঠানে শিল্পী কামাল আহমেদ ৫টি, শাহিনা লতা ৫টি এবং তারা দু’জনে মিলে ৪টিসহ সর্বমোট ১৪টি কালজয়ী ও হৃদয়ছোঁয়া গান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল আলোচনা অনুষ্ঠান। বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামাণিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কথাশিল্পী অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পন্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা জিনাতুন নেসা তালুকদার, নাট্য ব্যক্তিত্ব আব্দুর রশিদ, শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মমিন কাজল এবং বাংলাদেশ বেতার রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হাসান আখতার। বৈশাখের সন্ধ্যায় হারানো দিনের হৃদয় রাঙানো গানের আয়োজনে মিলনায়তনে দর্শকদের উপস্থিতি, উচ্ছ্বাস, আবেগ ছিল চোখে পড়ার মতো। দর্শক, শ্রোতাদের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে শিল্পী কামাল আহমেদ একে একে গেয়ে শোনান ৫টি গান। ‘সুরের ভুবনে আমি আজো পথচারী’, ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি’, ‘ওগো মোর মধুমিতা’, ‘আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে’, এবং ‘তুমি কখন এসে দাঁড়িয়ে আছো’ গানগুলো। শিল্পী তার দরাজ গলায় আর ভিন্নধর্মী গায়কী ঢংয়ে পরিবেশন করেন আর মোহবিষ্ট করেন উপস্থিত সকলকে। এরপর শিল্পী শাহিনা লতা গেয়ে শোনান, ‘ফুলের কানে ভ্রমর এসে’, ‘মনেরো রঙে রাঙাবো’, ‘ওগো আর কিছুতো নয়’, ‘যারে যারে উড়ে যারে পাখি’ এবং ‘তন্দ্রা হারা নয়ন আমার’ গানগুলো। সবশেষে দ্বৈতকণ্ঠে পরিবেশন করেন ‘তুমি আমার প্রথম সকাল’, ‘তুমি যে আমার কবিতা’, ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ও ‘আধো আলো ছায়াতে’। সঙ্গীতশিল্পী কামাল আহমেদ একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক (অনুষ্ঠান) পদে কর্মরত। সরকারী চাকরিকে ছাপিয়ে তিনি সঙ্গীতে হয়েছেন ঋদ্ধ। সঙ্গীতের সব শাখাতেই তার বিচরণ। রয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি এবং স্বীকৃতি। কামাল আহমেদ ২০১৭ সালে ভারতের মহারাজা বীরবিক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম কুমার বসুর হাত থেকে ‘অদ্বৈত মল্লবর্মণ পদক’ ও ত্রিপুরার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের উপস্থিতিতে ‘বীর শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত পদক’ প্রাপ্ত হন। এছাড়াও তিনি ২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধু গবেষণা ফাউন্ডেশন এ্যাওয়ার্ড এবং ২০১০ সালে সার্ক ক্যালচারাল সোসাইটি এ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। সর্বশেষ তিনি ২০১৭ সালে কানাডায় ৩১তম ফোবানা (ফেডারেশন অব বাংলাদেশী এ্যাসোসিয়েশন ইন নর্থ আমেরিকা) সম্মেলনে বাংলাদেশ ও বহির্বিশ্বে বেতার সম্প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ফোবানা পদক প্রাপ্তির বিরল সম্মান অর্জন করেন। উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত শিল্পীর ১৬টি এ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে।
×