ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গনে স্কুল ও বাড়ি বিলীন

প্রকাশিত: ১০:২৯, ১০ মে ২০১৯

 রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গনে স্কুল ও বাড়ি বিলীন

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ ব্রহ্মপুত্র নদের প্রবল ভাঙ্গনে রৌমারী উপজেলার অনেক এলাকা। কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার বন্দবেড়, চরশৌলমারী ও জাদুরচর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরের গ্রামগুলোতে নদের পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার বাগুয়ারচর গ্রামে দেখা গেছে ব্রহ্মপুত্রের প্রবল ভাঙ্গনের দৃশ্য। ব্রহ্মপুত্রের পূর্বপাড়, বামতীরে ২কি.মি.পাকা বেড়িবাঁধ, ১টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি মসজিদসহ বাগুয়ারচরের ২হাজার পরিবার ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। পুরো গ্রাম বিলীনের পথে। এলাকার মানুষ ভাঙ্গন আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে রৌমারীর প্রায় বিশটি গ্রাম। এগুলো হচ্ছে সাহেবের আলগা, গেন্দার আলগা, চরসোনাপুর, ঘুঘুমারী, উত্তর খেদাইমারী, পাখিউড়া, জামাইপাড়া, বাগুয়ারচর পয়েচিপাড়া, বাইটকামারী, পশ্চিম খনজনমারা, খনজনমারা, বাইশপাড়া, পশ্চিম কুঠিরচর, কুঠিরচর খানপাড়া, চরবাঘমারা, চর বন্দবেড়, ধনারচর, দিগলাপাড়া, ধনারচর নতুন গ্রাম। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবতী এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, কাঁচা-পাকা রাস্তা, সেতু, কালভার্ট, ঘর-বাড়ি, ফসলি জমি, গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাগুয়ারচর গ্রামের রিটায়ার্ড আর্মি মোঃ আবু হাফিজ ও শিক্ষক আব্দুল মালেক জানান, আসছে বন্যার আগেই বাগুয়ারচর গ্রামে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। উত্তর বাগুয়ারচর হতে বাইশপাড়া পর্যন্ত ২কি.মি. ব্রহ্মপুত্র নদের তীর সংরক্ষণ করা জরুরী। এ কাজ না করলে ১ মাসের মধ্যেই পাকা রাস্তাসহ পুরো গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। রৌমারী নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সিএসডিকে এনজিওর নির্বাহী পরিচালক মোঃ আবু হানিফ মাস্টার বলেন, আসছে বন্যার মৌসুমের আগেই বাগুয়ারচর গ্রামে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ দিয়ে তীর সংরক্ষণের বরাদ্দ দিয়েছে এক শ’ আশি মিটার। এ বরাদ্দ বৃদ্ধি করে ২কি.মি. জুড়ে জিও ব্যাগ দিয়ে তীর সংরক্ষণ করলে এলাকা রক্ষা পাবে। রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপঙ্কর রায় বলেন, আমি ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গন এলাকা বদলমারা ও বাগুয়ারচর গ্রাম পরিদর্শন করেছি।
×