ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চলবে ২৩ মে পর্যন্ত

একাদশ শ্রেণীর ভর্তিযুদ্ধ শুরু রবিবার

প্রকাশিত: ০৯:৪৯, ১০ মে ২০১৯

একাদশ শ্রেণীর ভর্তিযুদ্ধ শুরু  রবিবার

বিভাষ বাড়ৈ ॥ কেবল ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সামান্য পরিবর্তন এনে আগামী ররিবার দুপুর ১২টা থেকে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন কার্যক্রম। ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী যথারীতি এবারও আবেদন প্রক্রিয়া চলবে অনলাইন ও মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে। প্রার্থীরা সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজের জন্য আবেদন করতে পারবে। রবিবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে অনলাইন ভতি কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এদিকে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুবিধার কথা চিন্তা করে এবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে প্রথমবারের মতো কলেজগুলোকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। আসন সংখ্যা ও পাসের হারের ভিত্তিতে করা হয়েছে পৃথক তালিকা। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক সাব কমিটির প্রধান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বৃহস্পতিবার জনকণ্ঠকে বলেছেন, কলেজগুলোকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে কেবল শিক্ষার্থীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করেই। যাতে প্রত্যেক শিক্ষার্থী জানতে পারে কোনটা কোন মানের প্রতিষ্ঠান। এসএসসিতে কেমন ফল হলে কোথায় ভর্তি হওয়া যাবে। এটা করা হচ্ছে শুধু ঢাকা বোর্ডেই। তবে চাইলে যে কোন বোর্ডই এটা করতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তিতে যে প্রতিযোগিতা হয় তাতে সমস্যাটা হয় ঢাকা বোর্ড বিশেষত ঢাকা শহরেই বেশি। তাই অনেকে ভাবে তারা ভাল কলেজে ভর্তি হতে পারে না। তাই ফলাফল ও সেই মানের কোন কলেজ তা দেখে আবেদন যাতে করতে পারে সেজন্যই নতুন উদ্যোগ। চেয়ারম্যান জানান, ররিবার দুপুর ১২টা থেকে শুরু হবে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন কার্যক্রম। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে অনলাইন ভতি কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। অনলাইনে ও এসএমএসের মাধ্যমে রবিবার আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে ২৩ মে পর্যন্ত চলবে। ১০ জুন প্রথম পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ভর্তির তালিকা প্রকাশ করা হবে। ১৯ ও ২০ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন এবং ২৪ জুন তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে। ২৭ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে। আগামী ১ জুলাই একাদশ শ্রেণীতে ক্লাস শুরু হবে। জানা গেছে, বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও এসএসসি ও সমমানের ফলের ভিত্তিতে কলেজে ভর্তি করা হবে। নীতিমালা অনুসারে ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালের এসএসসি উত্তীর্ণরা ছাড়াও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালের উত্তীর্ণরাও একাদশ শ্রেণীতে ভর্তিযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়স হবে সর্বোচ্চ ২২ বছর। নীতিমালায় বলা হয়েছে, অনলাইনে ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করা যাবে। ভর্তির আসন নিয়ে যা বলা আছে নীতিমালায় ॥ বিভাগীয় এবং জেলা সদরের কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজের শতভাগ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে। মেধার ভিত্তিতে ভর্তির পরে যদি বিশেষ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কোন আবেদনকারী থাকে তাহলে মোট আসনের অতিরিক্ত ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য, তিন শতাংশ বিভাগীয় ও জেলা সদরের বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য, দুই শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্ত দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী এবং স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সন্তানদের জন্য। এছাড়া শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য এবং শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ প্রবাসীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
×