ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাগর কোড়াইয়া

ক্রিকেট উন্মাদনা

প্রকাশিত: ১০:৪০, ৯ মে ২০১৯

 ক্রিকেট উন্মাদনা

খেলাধুলা জাতি, দেশ ও একটি দেশের পতাকাকে বিশেষ পরিচিতি দেয়। দেশের মানচিত্রকে বিশ্বের সামনে সম্মানের সঙ্গে মাথা তুলে দাঁড়াতে সহায়তা করে। একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে গ্রামীণ বহু ধরনের খেলা চোখে পড়ত। এখন কিন্তু ওই সমস্ত খেলাগুলো সবই অতীত। ফুটবলের জনপ্রিয়তাও ছিল তুঙ্গে। দিন বদল হয়েছে। বর্তমান প্রজন্ম আর আগের স্থানে নেই। সবকিছুর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে খেলায়। ব্রিটিশদের আবিষ্কার ভদ্রলোকের এই খেলাটি আজ বাংলাদেশের শহরে-বন্দরে, গ্রামে-গঞ্জে সর্বত্র দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করছে। বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছে এক অনন্য উচ্চতায়। পরিচয় করিয়ে দিয়েছে বিশ্বদরবারে। রচনা করেছে সুখময় স্মৃতি; ছিনিয়ে এনেছে বহু অর্জন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাম্প্রতিক ও বিগত কয়েক বছরের ক্রিকেটিয় নৈপুণ্য হচ্ছে উচ্ছ্বাসে ও প্রশংসা বাক্যে ভরপুর। মাঠের নজরকাড়া অর্জনে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বন্দনায় মুখরিত বিশ্বমিডিয়া। যদিও ক্রিকেট ব্যাটে বলের লড়াই। তবু সবকিছুকে ছাড়িয়ে ক্রিকেট আজ বাঙালীর একটি জাতীয় আবেগ। দেশের সম্মানের বিষয়। ক্রিকেট যেন হয়ে উঠেছে বাঙালী জাতির আবেগ-অনুভূতি, ভালবাসা ও আশা-আকাক্সক্ষার এক বিশাল ক্ষেত্র। চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত ক্রিকেটের বিশ্বকাপ মহাযজ্ঞই দেশের ক্রিকেট দলের নৈপুণ্য প্রদর্শনের প্রধান মঞ্চ। ক্রিকেট খেলুড়ে প্রতিটি দেশই এই মহাযজ্ঞে নিজেদের উজাড় করে দিতে চায়। লক্ষ্য একটাই বিশ্বকাপ ট্রফি জয়। আর দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনা। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের এই আয়োজন চলতে থাকে প্রায় মাসজুড়ে। বাংলাদেশও বিশ্বকাপ দল নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতির পর্ব শুরু করে দিয়েছে। এবারের বিশ্বকাপে কে খেলবে আর কে বাদ পড়বে এই জল্পনা-কল্পনায় মাতোয়ারা ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। ইতোমধ্যে দলের নামও ঘোষণা করা শেষ। যোগ্যতার মাপকাঠিতেই দলে জায়গা করে নিয়েছেন খেলোয়াড়রা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বেশ দক্ষতার সঙ্গে বাংলাদেশের আসন্ন বিশ্বকাপ দল সাজিয়েছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল। কথায় বলে- যার শুরু ভাল তার নাকি শেষও ভাল হয়। দল সাজানোতে বিসিবি যেহেতু খেলোয়াড়দের মেধা ও দক্ষতার আঙ্গিকে দল গঠন করেছে তাই বলা যায় বিশ্বকাপের প্রস্তুতিপর্বেই বিসিবির মুন্সিয়ানার পরিচয় লক্ষণীয় হয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা ক্রিকেটের মাঠে খেলোয়াড়দের নৈপুণ্য প্রদর্শন। বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতাও খেলোয়াড়দের মানসিক দৃঢ়তা ও সময়ানুযায়ী সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দলের সাতজন খেলোয়াড়েরই বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। অন্য চারজন ইতোপূর্বে বিশ্বকাপের মঞ্চে পা রেখেছেন। পুরো ক্রিকেট দল বিশ্বকাপের আসরে বাংলাদেশের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবে। সবার স্বপ্নকে বয়ে নিয়ে যাবে ইংল্যান্ডের টেমস নদীর তীরে। দেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখাবে ভাল কিছু উপহার ছিনিয়ে আনার। নতুনদের তেজোদীপ্ত ক্ষিপ্রতা ও অভিজ্ঞদের অভিজ্ঞতার সমন্বয় আশা করি দেশের জন্য এই বিশ^কাপে সুখবর বয়ে আনবে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্তমান অবস্থা অবশ্যই সন্তোষজনক। শুরুর দিককার আর বর্তমান বাংলাদেশ দলের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ। বিগত কয়েক বছর যাবত দেশে এবং দেশের বাইরে বাংলাদেশের ধারাবাহিক নৈপুণ্যতা অবশ্যই আশার সঞ্চার করে। বনানী, ঢাকা থেকে
×