ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

পরাজয়ে হতাশ মেসি-সুয়ারেজরা

প্রকাশিত: ১০:০৫, ৯ মে ২০১৯

 পরাজয়ে হতাশ মেসি-সুয়ারেজরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এমন ব্যর্থতা মেনে নেয়া কঠিন। তিন গোলে এগিয়ে যেয়ে চার গোল হজম করে বিদায়। বার্সিলোনার এমনই হয়েছে। যে কারণে দলটির বিশ্বখ্যাত তারকা লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজদের মন বেজায় খারাপ। অন্যদিকে উচ্ছ্বাসে ভাসছেন লিভারপুলের ফুটবলাররা। এ্যানফিল্ডে ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পর যেন মাঠ ছাড়তেও কষ্ট হচ্ছিল বার্সিলোনার খেলোয়াড়দের। আলাদা করে বলতে হয় মেসির কথা, দলের সেরা তারকা তিনি, অধিনায়কাও। এমন এক লজ্জার পরাজয়ের সাক্ষী হবেন, ঘুণাক্ষরেও হয়তো ভাবতে পারেননি বার্সা সুপারস্টার। তার চেহারায় হতাশার ছাপও ছিল সবার চেয়ে গাঢ়। লজ্জার হারের পর মেসিকে রেখেই বিমানবন্দরে চলে যায় বার্সিলোনা দল। এ্যানফিল্ডে থেকে যান মেসি। তার যে তখনও আরেকটি কাজ বাকি রয়ে গিয়েছিল। ম্যাচের পরই ডোপ টেস্টের জন্য ডাকা হয় মেসিকে। সেখানে যতটুকু সময় লাগার কথা, লেগেছে তারচেয়ে অনেক বেশি। ফলে দলের অধিনায়ককে রেখেই বিমানবন্দরে চলে যায় বার্সিলোনা দল। কাজ শেষ করে কয়েক ঘণ্টা পর সতীর্থদের সঙ্গে যোগ দেন মেসি। তবে মিডিয়ার কারও সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি আর্জেন্টাইন ক্ষুদে জাদুকর। মুখ গোমড়া করেই লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান তিনি। তবে এমন ব্যর্থতার পর কথা বলেছেন সুয়ারেজ। তিনি মানতেই পারছেন না বারবার এমন পরিণতি। ২০১৭-১৮ মৌসুমে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ৪-১ গোলে রোমাকে পারাজিত করেছিল বার্সিলোনা। এরপর ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে ৩-০ গোলে জয়ী হয়ে দারুণভাবে সেমিফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেছিল ইতালিয়ান জায়ান্টরা। এবারও চ্যাম্পিয়ন্স লীগে সেই একই পরিণতি দেখতে হলো বার্সাকে। হতাশ সুয়ারেজ বলেন, আমাদের অবশ্যই অনেক বেশি আত্মসমালোচনা করতে হবে। টানা দ্বিতীয়বারের মতো একই ঘটনা ঘটলো। টানা দুই বছর একই ভুল আমরা করতে পারি না। কি ভুল হচ্ছে সেটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। দিনের শেষে একটি কথাই বলব, আমরাও মানুষ, আমাদের মনেও অনেক কষ্ট হচ্ছে, হতাশা হচ্ছে। এই অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না। আর্নেস্টো ভালভার্ডের অধীনে বার্সিলোনা টানা দুই বছর স্প্যানিশ লা লিগা শিরোপা দখল করলেও ইউরোপিয়ান আসরে বারবার ব্যর্থ। এ প্রসঙ্গে সুয়ারেজ বলেন, মাঠে কিন্তু আমরাই খেলি, কোচ আমাদের কৌশল শিখিয়ে দেন যা আমরা প্রথম লেগে প্রমাণ করেছিলাম। আমাদের নিজ নিজ দক্ষতা সম্পর্কে আরও সচেতন হতে হবে। আমরা মোটেই দল হিসেবে খেলতে পারিনি, এ জন্য অবশ্যই ক্ষমা চাওয়া উচিত। পরিবার, সন্তান, ভক্তদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করা উচিত। চতুর্থ গোলটিতে আমরা একেবারেই অপরিপক্বতার পরিচয় দিয়েছি। আমাদের ঘিরে চারিদিকে যে ধরনের সমালোচনা হচ্ছে তা স্বীকার করে নিতে হবে। অন্যদিকে বিজয়ী দলের বীর কোচ জার্গেন ক্লপ বলেন, ম্যাচের আগে আমি ছেলেদের বলেছিলাম, আমি মনে করি না এটা সম্ভব। কিন্তু যেহেতু তোমরা খেলবে, আমি মনে করি আমাদের একটা সুযোগ আছে। এটা অবিশ্বাস্য! অনেকটা ভাঙাচোরা দল নিয়েও দ্রুতগতির আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার কৌশল নেন লিভারপুল বস। আর ক্লপের এই চমকে দেয়া কৌশলের কাছে মার খেয়ে যায় ভালভার্ডেল দল। ম্যাচশেষে বিধ্বস্ত এবং হতবিহ্বল বার্সা ডিফেন্ডার সার্জিও বসকুয়েটস শুধু একটি বাক্যে বলেন, ওরা (লিভারপুল) আমাদের চেয়ে অনেক ভাল ছিল।
×