ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

র‌্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে মাদক কারবারি নিহত

প্রকাশিত: ০৯:৪১, ৯ মে ২০১৯

 র‌্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে মাদক কারবারি  নিহত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে র‌্যাবের অভিযানকালে গোলাগুলিতে এক মাদক বিক্রেতা নিহত ও বিপুল ইয়াবাসহ চাকরিচ্যুত এক পুলিশ সদস্য গ্রেফতার এবং ডিবি পুলিশের হাতে গাড়ির নকল কাগজপত্র বানানোর সঙ্গে জড়িত পাঁচ জন গ্রেফতার হয়েছে। বুধবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে আগারগাঁও এলাকায় র‌্যাব-২ এর চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশির সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। একটি প্রাইভেটকারকে থামার জন্য নির্দেশ দিলে গাড়িটি পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় র‌্যাব সদস্যরা গাড়ির পিছু নিলে গাড়ি থেকে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গোলাগুলির পর সেখানে অভিযান চালায় র‌্যাব। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করা হয়, উদ্ধার হয় একটি বিদেশী পিস্তল ও ৫শ’ বোতল ফেনসিডিল। র‌্যাব-২ জানায়, নিহত ব্যক্তির নাম আশরাফ আলী, ফেনসিডিল বিক্রেতা ছিল। তিনি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। নিহত বিক্রেতা চুয়াডাঙ্গা থেকে ফেনসিডিলের চালান আনত। অন্যদিকে র‌্যাব-২ অপর একটি দল মঙ্গলবার রাত দশটার দিকে আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে দেশ ট্রাভেলসের বাসে অভিযান চালায়। অভিযানকালে পুলিশের ইউনিফর্ম পরা মাহফুজুর রহমান নামের এক চাকরিচ্যুত কনস্টেবলকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ও প্রায় ৩২ হাজার নগদ টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়। ওই যাত্রী বাসে এএসআইয়ের র‌্যাঙ্ক ব্যাজ পড়া ছিল। আটক ইয়াবা কারবারি জানান, তিনি একজন বহিষ্কৃৃত পুলিশ। ’১১ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দিয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত অবস্থায় গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় তার চাকরি যায়। প্রতি মাসে ২/৩ বার করে তিনি কক্সবাজার গিয়ে পুলিশের ইউনিফর্ম পরিধান করে বড় বড় মাদকের চালান নিয়ে আসতেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা আছে। এদিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার পূর্ব কাফরুলে অভিযান চালিয়ে গাড়ির জাল কাগজপত্রসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, আবদুল খালেক (৬৭), আনোয়ারুল হক শিমুল (৪২), আবদুল জলিল (৬৪), আবদুর রহিম (৩১) ও মোতালেব হোসেন (৫৮)। তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) রুট পারমিট, গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ট্যাক্স টোকেনসহ মোটরযানের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়া গেছে। যা জাল। বুধবার পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন সংবাদ সম্মেলনে জানান, চক্রটি গাড়ির যত ধরনের কাগজপত্র লাগে, সবই জাল বানাতে সক্ষম। প্রায় ১২ বছর ধরে মোটরযানের কাগজপত্র জালিয়াতি করে আসছিল। জাল কাগজপত্র তৈরি করে দিতে তারা ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা করে নিত। এর আগে গত রবিবার পশ্চিম ধানমন্ডির মধুবাগের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে মোস্তফা কামাল জয় (৩৮), তার স্ত্রী শাম্মি আনসারী ও শাম্মির বোন সাদিয়াকে (২৩) গ্রেফতার করা হয়। তারা একই চক্রের সদস্য।
×