ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ওড়িশায় চরম খাদ্য সঙ্কট, খোলা আকাশের নিচে মানুষ

প্রকাশিত: ১২:১৭, ৮ মে ২০১৯

ওড়িশায় চরম খাদ্য সঙ্কট, খোলা  আকাশের নিচে মানুষ

ভারতে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত হানার তিনদিন পর খাদ্যের জন্য হাহাকার লেগে গেছে ওড়িশায়। ঘূর্ণিঝড়ের আগে গ্রামবাসী আপদকালীন যে খাদ্য মজুদ করে রেখেছিল তা শেষ হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত হানার পর সোমবার রাজ্য সরকার কয়েকটি গ্রাম পরিদর্শনে যায়। সেখানে গিয়ে সরকারী কর্মকর্তারা গাছ ভেঙ্গে পড়ে রাস্তা বন্ধ হওয়া, বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে থাকতে দেখেন। এর ফলে লোকজন খাদ্য ও পানির চরম সঙ্কটে পড়েছে। সোমবার পুরী ও কনার্কের মধ্যেকার মেরিন ড্রাইভ সড়ক থেকে উপড়ে পড়া গাছপালা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে যখন ঘূর্ণিঝড়ের আগাম সতর্কতা জারি করা হয়, তখন প্রত্যন্ত এলাকার লোকজন খাদ্য মজুদ করেছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত হানার পর থেকে গত কয়েকদিনে তাদের মজুদ করা সকল খাদ্য শেষ হয়ে গেছে। দ্রুত খাদ্য ও অন্যান্য মৌলিক প্রয়োজনীয় বস্তু সরবরাহ করার দাবি জোরালো হচ্ছে। কিন্তু সে চাহিদা পূরণ করতে পারছে না কর্মকর্তারা। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে এ্যাসবেস্টস ও টিনের চাল উড়ে যাওয়ায় বর্তমানে পলিথিন শিটের ব্যাপক চাহিদা দেখা দিয়েছে। গাছপালা উপড়ে যাওয়ায় গ্রামের সবুজ বেষ্টনী বিলীন হয়ে গেছে। ফলে কড়া রোদে লোকজনকে অবস্থান করতে হচ্ছে। চিলিকা হ্রদের কয়েকটি দ্বীপ গ্রাম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে পৌঁছতে হলে পুরী থেকে সড়ক পথে ৭০ কিলোমিটার এবং এরপর প্রায় এক ঘণ্টা নৌকায় করে যেতে হয়। এসব গ্রামের অধিকাংশই ক্রুশনাপ্রসাদ ব্লকের অধীনে। মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় গ্রামের বাস্তব অবস্থা সরকারকে জানাতে লোকজনকে চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। পুরী জেলার শতপদের কাছের গামবাড়িগাও গ্রাম পঞ্চায়েতে বেশ কয়েকটি মরা মহিষ পড়ে আছে। সেগুলো এখনও সরানো হয়নি। ঘূর্ণিঝড়ে ভূবনেশ্বরেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৈদ্যুতিক জেনারেটর না থাকায় সেখানে পানির চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। -দ্য হিন্দু
×