বিশেষ প্রতিনিধি ॥ দুর্যোগ মোকাবেলায় সুসমন্বিত ব্যবস্থা থাকায় সফলতার সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে মন্তব্য করে এ ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সরকারের মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য এবং প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় দ্রুত অধিক আশ্রয়কেন্দ্র, মুজিব কিল্লা নির্মাণ ও বেড়িবাঁধ সংস্কার এবং আইসিটি কমিউনিকেশন সিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক নির্দেশনা দিয়েছেন, বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছেন। আমাদের মতো তড়িৎ গতিতে দুর্যোগ মোকাবেলার সক্ষমতা অনেক দেশেরই নেই। মানুষের মধ্যে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি ও সমন্বিত প্রস্তুতি থাকায় ঘূর্ণিঝড় ফণীতে ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব হয়েছে। তবে শক্তিশালী পূর্ব প্রস্তুতি গড়ে তুলতে দুর্যোগের ক্ষেত্রে বাজেট বাড়াতে হবে।
মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় ফণী পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম সম্পর্কে পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রিসভার সদস্য ও উর্ধতন কর্মকর্তারা এমন মতামত ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মোঃ নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় ভবিষ্যতে যে কোন ধরনের বড় দুর্যোগ মোকাবেলায় মন্ত্রণালয় ও বিভাগের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। সভায় আশ্রয় কেন্দ্রের স্বল্পতা, আশ্রয়কেন্দ্র সংস্কারে বরাদ্দের অপর্যাপ্ততা, আশ্রয়কেন্দ্রে পয়ঃনিষ্কাশন/ নিরাপদ পানির সীমাবদ্ধতা, বেড়িবাঁধ সংস্কারের অভাব ও ভাঙ্গনের সমস্যাগুলো উঠে আসে। বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। মানুষের মধ্যে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি ও সমন্বিত প্রস্তুতি থাকায় ঘূর্ণিঝড় ফণীতে ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব হয়েছে। তবে শক্তিশালী পূর্ব প্রস্তুতি গড়ে তুলতে দুর্যোগের ক্ষেত্রে বাজেট বাড়াতে হবে। মানুষ এখন ত্রাণ চায় না, স্থায়ী বেড়িবাঁধ চায়। বাঁধগুলো আরও উঁচু ও টেকসই করে তৈরি করতে হবে। বেড়িবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মনিটরিং টিম গঠন এবং দুর্যোগকালীন স্বয়ংক্রিয় যোগাযোগ ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। দুর্যোগ বীমা চালু, মফস্বল পর্যায়ের কমিউনিটি রেডিওকে আরও সক্রিয় এবং কমপক্ষে আরও আড়াই হাজার আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে। সাইক্লোন সেন্টারগুলোতে সুপেয় পানির ব্যবস্থা এবং উপকূলীয় ও বন্যাপ্রবণ এলাকায় মুজিব কেল্লা ও সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণে আরও দ্রুত নীতিনির্ধারণী পদক্ষেপ জরুরী।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: