ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ভুয়া বিল ভাউচার মাস্টার রোল কর্মচারী লাপাত্তা

প্রকাশিত: ১৩:১৩, ৭ মে ২০১৯

ভুয়া বিল ভাউচার মাস্টার রোল কর্মচারী লাপাত্তা

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ রামুতে বিভিন্ন প্রকল্পের নামে বরাদ্দ হওয়া দুই কোটি টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা কিছুটা জানাজানি হওয়ার পর মাস্টার রোল কর্মচারী লাপাত্তা এবং পিআইও কৌশলে বদলি হয়ে গেছে অন্যত্র। জানা যায়, রামু উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন ও কাবিখাসহ বহু প্রকল্প দেখিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দ চেয়ে আবেদন পাঠান। ঠিকই বরাদ্দও মিলে যায়। বিশাল অঙ্কের সরকারী ওই টাকা আত্মসাত করতে পরিকল্পনা নেয় ব্যাংক ব্যবস্থাপকসহ কয়েকজন সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী। এ্যাকাউন্ট খুলে দেয়া হয় নোমান এরশাদ নামে পিআইও অফিসের একজন পিয়নের নামে। এরপর বিভিন্ন ভুয়া বিল ভাউচারের বিপরীতে ওই পিয়নের এ্যাকাউন্টে টাকা জমা করা হয় লাখ লাখ টাকা। পরবর্তীতে ওই পিয়ন চেক দিয়ে বিভিন্ন কিস্তিতে টাকা উত্তোলন করে নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে একজনের ব্যক্তিগত বিল অপরজনের এ্যাকাউন্টে হস্তান্তর বা নগদ জমা করার নিয়ম নেই। তবে রামু উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্পের যাবতীয় বিলসহ অনেক সময় নগদ টাকা ওই কর্মচারীর হিসাব (নং- ০৯০৭৬০১০১৫১২০) সোনালী ব্যাংক, রামু শাখায় জমা ও পরে উত্তোলন করার প্রমাণ মিলেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, পিআইও অফিসের পিয়ন নোমান এরশাদ সোনালী ব্যাংক রামু শাখায় তার ব্যক্তিগত হিসাব থেকে গত বছর ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ৮৭ লাখ ৯ হাজার ৯৮১ টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছে। এছাড়াও কিছু কিছু বিল এ্যাকাউন্টে জমা না করে নগদ টাকা উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার তথ্য মিলেছে। ব্যাংকের কতিপয় কর্মকর্তার সঙ্গে আঁতাত করে পিআইও জুবায়ের হাসান ওই পিয়নের নামে ব্যাংকে হিসাব খুলে সরকারী বরাদ্দের ২কোটি টাকা লোপাট করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ভয়ে ওই পিয়ন চাকরি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানা গেছে। নোমান এরশাদের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র মতে, পিয়ন নোমান ছিল দুর্নীতিবাজ ওই কর্মকর্তাদের হাতের পুতুল মাত্র। সে চাকরি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশায় কর্মকর্তার হুকুম তামিল করেছে মাত্র। লাপাত্তা হলেও দুর্নীতিবাজ পিআইও, ব্যাংক কর্মকর্তা এবং একাধিক জনপ্রতিনিধির সঙ্গে ওই পিয়নের বিভিন্নভাবে যোগাযোগ রয়েছে। পিআইও অফিসের একজন পিয়নের নামে এ্যাকাউন্টে কোটি টাকা লেনদেন, তাও আবার সরকারী প্রকল্পের বিপরীতে বিল, বিষয়টি সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুললেও উপজেলা প্রশাসন ও রামু সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
×